একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে জল্লাদ খালেকসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শহিনুর ইসলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। এর আগে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় আসামি খালেক মণ্ডলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। পলাতক খান রোকনুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ছিলেন মোখলেসুর রহমান বাদল ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
চার আসামির মধ্যে খালেক মণ্ডল গ্রেফতার, কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন। বাকি দুই আসামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান ছিলেন পলাতক। বিচারচলাকালীন সময়ে আব্দুল্লাহ হেল বাকী এবং টেক্কা খান মারা যান।
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়জনকে হত্যা, দু’জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
২০১৮ সালের ৫ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৫ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় নাশকতার উদ্দেশে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান ট্রাইব্যুনাল।
শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।
ইবাংলা/ জেএন/ ২৪ মার্চ, ২০২২