স্বাধীনতা দিবস ব্যতিক্রমধর্মী প্রশংসনীয় আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিলেন বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত। তিনি একটি পুকুরে আলোকসজ্জার মাধ্যমে বাংলাদেশের জতীয় পতাকা ফুটেতুলেছেন।
সঞ্জয় কুমার মহন্ত পুরো পুকুরজুড়ে ১৬০ ফুট লম্বা এবং ৯৬ ফুট চওড়ার ওই জাতীয় পতাকা আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটে তুলেছেন। এতে ৯২ হাজার ৩৪০টি বাতি ব্যবহার করতে হয়েছে। আলোকচিত্রটির নাম করণ করা হয়েছে ‘জলতরঙ্গে বিজয় নিশান’।
ইলেকট্রিক বাতির মাধ্যমে জাতীয় পতাকা তৈরির পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলোর চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফ্লাই ওভার, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দৃষ্টিনন্দনভাবে ফুটে তুলেছেন সঞ্জয় কুমার মহন্ত। তার এই আয়োজন দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক মানুষ বিকেল থেকে জড়ো হতে থাকে পুকুর পাড়ে।
২৬ মার্চের সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে সুইচ টিপে আয়োজনটির উদ্বোধন করা হয়। বাতি জ্বলার পরেই পুরো এলাকা আলোর মূর্ছনায় বর্ণিল হয়ে ওঠে। এই আয়োজটি উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-ধুনটের সাংসদ আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান।
এসময় জেলা প্রশাসক জিয়াউর রহমান বলেন, এই আয়োজনটি একটি বিনোদনের মধ্য দিয়ে পুরো বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রকর্ম তুলেধরা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের এমন ব্যতিক্রম আয়োজন সবার মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগ্রত করবে।
আয়াজটি সম্পর্কে কথা বলেন, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন পতাকার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত পতাকার এমন প্রদর্শন দেখে আমি আবেগ ধরে রাখতে পারছি না।
আয়োজনটি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানোর চিন্তা থেকেই আমি এমন আয়োজন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আজকের দিনটি পালনের জন্য ব্যতিক্রমী আইডিয়া বের করার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, পরে আমার মাথায় এই পরিকল্পনাটি এসেছে। আমি সব নকশা একাই করেছি। এখানে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোকে খন্ডখন্ডভাবে চিত্রায়ীত করেছি। এতে এক নজরে পুরো বাংলাদেশের চিত্র মানুষের চোখের সামনে ফুটে উঠবে।
ইবাংলা/ জেএন/ ২৭ মার্চ, ২০২২