শব্দ দূষণ রোধে গণসচেতনতা ক্যাম্পেইন

রিসাত রহমান, জবি প্রতিনিধি:

“চলো যাই যুদ্ধে, শব্দ দূষনের বিরুদ্ধে” স্লোগানে রাজধানীর গুলশানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এক দল তরুণ তরুণীদের নিয়ে “নেক্সাস অফ মার্কেটিং” এর উদ্যোগে বুধবার (৩০ মার্চ) শব্দদূষন বিষয়ক গনসচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করে। ক্যাম্পেইন কার্যকর করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন গুলশান ট্রাফিক জোন।

তারা বলেন বর্তমানে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শব্দদূষণ একটি মারাত্বক রূপ ধারণ করেছে। যা পরিবেশ ও প্রাণীকূলের জন্য হুমকি সরূপ। তীব্র শব্দ কানের পর্দাতে বেশ জোরে ধাক্কা দেয়, যা কানের পর্দাকে নষ্টও করে দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর প্রভাব সুদূর প্রসারী হতে পারে। শিশু বয়সে শব্দের অধিক তারতম্যের জন্য বৃদ্ধ বয়সে তাদের কানের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।

শব্দের আধিক্য আমাদের দেহ ও মনের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।মাইকের অবাধ ব্যবহার,গাড়ির হর্নের আওয়াজ,কল-কারখানার শব্দ,উচ্চ ভলিয়মে সাউন্ড বক্স বাজানো,পুরনো গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ ইত্যাদি পরিবেশ দূষনের প্রধান কারণ।

এসব বিষয়ে এখনি রোধ করা না গেলে আগামীর পৃথিবী চরম হুমকির মুখে পড়বে। আমরা মনে করি জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ঐক্যবদ্ধ কর্ম প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত দিক নির্দেশনা শব্দদূষণকে নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। তাই জনসাধারণের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন আমরা সবাই দূষণ মুক্ত বসবাস যোগ্য একটি সুস্থ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হব।

এ.বি.এম. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান ট্রাফিক জোন, ডি.এম.পি বলেন “আমরা বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে সকলকে হর্ণ না বাজাতে অনুপ্রাণিত করি। কিন্তু অধিকাংশ চালক যাথাযথ প্রশিক্ষনের অভাবে অযথা হর্ণ বাজায়।

যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আজকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এই ক্যাম্পেইনকে আমরা উতসাহিত করি। সবাই যদি এভাবে মাঠে আসে তাহলে আমরা শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধান করতে পারবো। “

শিক্ষার্থীরা জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচী করার অনুপ্রাণিত করায় ধন্যবাদ জানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার বালো।

ইবাংলা/ জেএন/ ৩১ মার্চ, ২০২২

ক্যাম্পেইনগণসচেতনতা
Comments (0)
Add Comment