আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি ও কৃষিসহ কয়েকটি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
করপোরেট কর কমানোর পাশাপাশি ভ্যাট-ট্যাক্স নতুন করে না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর দাবি জানান তারা। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ও ‘বাজেটে প্রত্যাশা’ বিষয়ক আলোচনা এ দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সাধারণ মানুষের কী প্রত্যাশা, অর্থনীতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা কতটুকু সুযোগ চান-এসব জানতে ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর যৌথ আয়োজনে এই সম্মেলন।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনার অভিঘাতে নুয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যকে চাঙা করতে বাজেটে ভ্যাট- ট্যাক্স ছাড় দেওয়া জরুরি।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আজিম বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে কোভিডে আমরা শেষ হয়ে গেলাম। তার মধ্যে আবার যদি আমাদের ট্যাক্স বাড়ানো হয়, তাহলে আমরা যাব কোথায়?
ডিসিসিআই-এর সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, শ্রীলঙ্কাকে আজকে আপনারা দান করছেন, যে দেশকে আপনারা ঋণ দিচ্ছেন, তাদের করপোরেট ট্যাক্স আমাদের থেকে কম।
বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, প্রত্যেক বছর ট্যাক্স যদি বাড়ানো-কমানো হয়, তাহলে আমাদের অনেক ক্যালকুলেশনে অনেক অসুবিধা হয়।
সাধারণ মানুষের গলার কাঁটা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। আলোচকরা বললেন, কৃষিখাতে ভর্তুকি ধরে রেখে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় করা গেলে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি মূল্য কমানো সম্ভব।
কৃষি বিশেষজ্ঞ শাইখ সিরাজ বলেন, কৃষিতে উৎসে কর, যদিও এখনও এটা প্রণয়ন হয়নি, খুব পাঁয়তারা চলছে এটা প্রণয়ন করার জন্য। এটা করলে আরও একটা বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, কৃষিকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ থেকে ২-৩ শতাংশ যান্ত্রিকীকরণে সীমত রয়েছে। এটাকে বৃহৎ পরিসরে করতে পারলে আমরা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারব। কৃষক ও কৃষি অর্থনীতি দুটোই উপকৃত হবে।
জ্বালানির দাম ঠিক রেখে সরবরাহ নির্বিঘ্ন চান ব্যবসায়ীরা।
বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। নতুন করে গ্যাস উৎপাদন করা বা প্রয়োজনে বিদেশ থেকে এনএলজি আমদানির জন্য আমরা অনুরোধ করব।
অনুষ্ঠানে কৃষি ও বাণিজ্যমন্ত্রী জানালেন, বাজেট প্রণয়নের আগে সবার দাবি বিবেচনা করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ট্যাক্সের ব্যাপারটা আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে, কত কম চাপ দেওয়া যায়। পাশাপাশি বিবেচনায় আনতে হবে ট্যাক্স দেওয়ার সংখ্যা, এই জালটা বিস্তৃত করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজেটে নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন ইস্যুতে আমার অবদান রাখার সুযোগ আছে। আমি সেটি আপনাদের কাছ থেকে নিয়ে আমি চেষ্টা করব।
ইবাংলা /জেএন /৩১মার্চ ২২