এক ওভার অর্থাৎ ৬ বলে সর্বোচ্চ উইকেট পড়ার রেকর্ড আছে ক্রিকেট বিশ্বে! কিন্তু ৬ বলে ৬ উইকেট অর্জন করার রেকর্ড নেই। এবার দেখা গেলো, ৬ বলে ৬টি উইকেটই পড়ার ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে নেপালের ক্লাব ক্রিকেটে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) নেপালের ক্লাব ক্রিকেটে ঘটে এই ঐতিহাসিক ঘটনা। টুর্নামেন্টটি ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। ক্রিকেটের ইতিহাসে এর আগে দেখা গিয়েছিল এক ওভারের ছয় বলে ছয় ছক্কার মারার ঘটনা।
এবার দেখা গেল ক্রিকেট বিশ্বে ভিন্ন এক ঘটনা। এক ওভারে ৬ উইকেট পড়ার ঘটনা ঘটলো। যেখানে একটি রান আউট বাদ দিয়ে ৫ বলে পাঁচটি উইকেট নিলেন বোলার নিজেই।
৬ উইকেট নেয়ার এই ঘটনা ঘটেছে নেপাল প্রো ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে। টুর্নামেন্টের গ্রুপ ‘এ’ এনকাউন্টারে পুশ স্পোর্টস দিল্লির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মালয়েশিয়া ক্লাব একাদশ।
দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে ডিসমিসালের এই রেকর্ড গড়লেন মালয়েশিয়া দলের তারকা বোলার বিরানদিপ সিং। প্রথমে ব্যাট করতে নামা দিল্লির ক্লাবটির ২০তম ওভারে এই কীর্তি গড়েন বিরানদিপ।
বিরানদিপ সিং যখন ২০তম ওভার বল করতে আসেন, তখন দিল্লির রান ছিল ৩ উইকেটে ১৩০। আর যখন ওভার শেষ করেন দিল্লি স্কোরবোর্ডে তখন ছিল ৯ উইকেটে ১৩২ রান।
ম্যাচের প্রথম বলটি ওয়াইড করেন বিরানদিপ সিং। এরপরে তার বলে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এম পাঠাক। পরের বলে ব্যাটার দু’রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। তৃতীয় বল ব্যাটরের লেগ স্ট্যাম্প উড়িয়ে দন বিরানদিপ। তিন বলে তখন তিন উইকেট পড়ে গেছে।
চতুর্থ বলে প্রতিপক্ষ ব্যাটরকে বোল্ড করলেন তিনি। পঞ্চম বলে জে সিঙ্ঘালকে নিজের হাতেই রিটার্ন ক্যাচ দেয়ান। এর ফলে নিজের হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করে ফেলেন বিরানদিপ। পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির মতো তাকে সেলিব্রেশন করতেও দেখা যায়।
ইনিংসের শেষ বলে ৯ম ব্যাটারকে আউট করে নিজের ডাবল হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন বীরানদিপ। এরই সঙ্গে বাইশ গজে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেন। ৬ বলে তুলে নেন ৬টি উইকেট। ৫টি থাকলো তার নিজের দখলে। একটি হলো রানআউট।
১৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচটি সাত উইকেটের ব্যবধানে জিতে নেয় মালয়েশিয়া ক্লাব একাদশ। দিল্লির স্কোর ছিল ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩২। জবাবে ১৭.৩ ওভারে মালয়েশিয়া ক্লাব একাদশ ৩ উইকেট হারিয়ে করে ১৩৫ রান। নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বিরানদিপ। বল হাতে ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর তিনি ব্যাট হাতেও ১৯ বলে ৩৩ রান করেন। সূত্র : জাগো নিউজ
দেখতে ক্লিক করুন
ইবাংলা/ টিএইচকে/ ১২ এপ্রিল, ২০২২