নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে হেরিং বোম (এইচবিবি) প্রকল্পের দুইটি সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুইটি সড়কেই নিয়ম না মেনে নিম্নমানের ইট বিছিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের চর পূর্বাণী গ্রামের ১হাজার মিটার, উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের বিরাহীমপুর গ্রামের ১হাজার মিটার, কাঁচা রাস্তা হেরিংবোম (এইচবিবি) করতে দরপত্র আহ্বান করে।
এতে দুটি সড়কে আনুমানিক প্রায় ব্যয় ধরা হয় কোটি ২০ লাখ টাকা। উপজেলার চর পূর্বাণী গ্রামের সড়কটিতে মাঠ পর্যায়ে কাজটি করছে পারভেজ নামে এক ব্যক্তি। এপ্রিল প্রথম দিকে দিকে ঠিকাদার কাজটি শুরু করে নিম্নমানের ইটসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যদিয়ে কাজের একেবারে শেষ পর্যায়ে।
তবুও নজর নেই সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানের। এলাকাবাসির অভিযোগ ঠিকাদাররা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এর যোগসাজশে এ দুর্নীতি করছে। সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হলে এর দায় তদারকি প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারেনা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের চর পূর্বাণীতে গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসই করণের লক্ষ্যে হেরিংবোম (এইচবিবি) কাজ চলছে। এরইমধ্যে প্রায় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ সড়কে একেবারে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করেছে ঠিকাদার। সড়কের এজেন্ট তৈরীতেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট।
স্থানীয়দের অভিযোগ ইটের নিচে বালি কম দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসই করণের লক্ষ্যে হেরিংবোম (এইচবিবি) ঠিকাদার নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শেষ করেছেন। এ সড়কের এইচবিবি কাজে নিচের স্তরে একেবারে নিম্নমানের ইট দেওয়া হয়েছে।
সড়কের এজেন্টেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। কাজটি করছে সদর উপজেলার ১নং চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঠিকাদার কামাল উদ্দিন বাবলু।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু বলেন কোন লাইসেন্সে কাজ হচ্ছে আমার জানা নেই। আমার সাথে আরও কয়েকজন আছে। তিনি দাবি করেন সব ইট ভালো নয়। আবার সব ইট খারাপও নয়। তাঁর কাজের তদারকির দায়িত্ব থাকা মাঝি জানান নিচের স্তরের ইট ঠিকাদারের নির্দেশে নিম্নমানের দেওয়া হয়েছে। তবে উপরের স্তরের ইট এবং এজেন্টের ইট গুলো ভালো।
চর পূর্বাণীর কাজের অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার পারভেজ বলেন, এ বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জোবায়ের হোসেন বলেন, নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ইবাংলা/ টিএইচকে/ ২০ এপ্রিল, ২০২২