দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। এছাড়া সে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রংপুর সিআইডির এসপি আতাউর রহমান বলেন, তারা আমার অনুমতি না দিয়ে সেখানে (চিরিরবন্দর) অভিযানে গেছেন। একটু আগে তাদের আটকের বিষয়টি শুনেছি। তারা কেন সেখানে গেলেন, কাকে অপহরণ করলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিরিরবন্দরের পলাশ নামের এক ব্যক্তি লুৎফর রহমান নামের আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে করেন। এ ঘটনাটি চলতি মাসের শুরুর দিকের।
লুৎফরের ভাগ্নে শামসুল আলম মানিক জানান, সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় চিরিরবন্দরে গিয়ে তার মামার বাড়িতে অভিযান চালায়। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা।
মানিক আরও জানান, লুৎফর রহমানকে ফোন করে তার স্ত্রী-সন্তানের মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা নিতে মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডি কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলেন লুৎফর। এর আগেই বিষয়টি তিনি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে জানিয়ে রাখেন।
ই-বাংলা.প্রেস/আই