পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী হৃদয় হাওলাদার ও শাশুড়ি জেসমিন বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, নিহত সুমী আকতার (১৭) ইন্দুরকানী উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের প্রবাসী সাহিদা বেগমের মেয়ে। ইন্দুরকানী উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদারের (১৮) সঙ্গে সুমী আকতারের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ সুবাদে প্রায় এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-কলহ লেগেই থাকত। এদিকে সুমীকে তার মায়ের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা আনতে বলেন শাশুড়ি। টাকা না আনায় তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে ঘরের মধ্যে আটকে নির্যাতন করতেন।
নির্যাতনের ফলে সুমীর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় হৃদয়ের পরিবার। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমীকে মৃত ঘোষণা করে। পরে মরদেহ নিয়ে তারা দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসে।
নিহত সুমীর নানা সাকায়েত ফরাজী বলেন, সুমীকে তার মায়ের কাছ থেকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা আনতে বলেন শাশুড়ি। টাকা না আনায় তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে ঘরের মধ্যে আটকে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ফলে সুমীর মৃত্যু হয়েছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে সুমীর শ্বশুর ফারুক হাওলাদার বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য হলে ঘরে থাকা চালের পোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমী, যৌতুকের জন্য নয়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় নিহতের নানা সাকায়েত ফরাজী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে সুমীর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে আসামি করে থানায় হত্যার লিখিত অভিযোগ করেছেন। মামলার পরপরই তার স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইবাংলা / জেএন / ২৭ এপ্রিল, ২০২২