ন্যায্য সন্মান আদায়ে শ্রমিকদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট

শ্রমিককে কাজ সম্পাদন করামাত্রই তাঁর প্রাপ্য পারিশ্রমিক প্রদান করা মালিকের প্রধান দায়িত্ব। শ্রমিক-মজুরেরা নিজের ও পরিবারের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের জন্য কঠিন পরিশ্রম করে থাকেন।

প্রাপ্য মজুরিই তাঁদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু যুগ যুগ ধরে শ্রমিকেরা ন্যায্য প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁদের কাজের সময় কমানো ও ন্যায্য মজুরি প্রাপ্তির অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করতে গিয়েই তাঁরা নিগৃহীত হন

বিড়ি শ্রমিকদের আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বিড়ি কারখানাগুলোতে সপ্তাহে ৬ দিন কাজের ব্যবস্থা, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন,

আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে বিদ্যমান শুল্ক কমানো এবং বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি এমকে বাঙালী। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য লুৎফর রহমানসহ অনেকে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আজও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রাম চলছে। শ্রমিকেরাই এদেশের প্রাণশক্তি, শ্রমিকদের ঘামে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক ভিত। কিন্তু দেখা যায়, সকল সংকটে শ্রমিকেরাই থাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অসহায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বেগবান করতে মহান মে দিবসের চেতনায় সকলকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে দেশের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। এছাড়াও বিদেশী সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে আমরা দেশের এই লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিকদের জীবন জীবিকার অবলম্বন বিড়ি শিল্পকে রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।

ইবাংলা / জেএন / ২৭ এপ্রিল, ২০২২

আদায়েকরতে হচ্ছেন্যায্যশ্রমিকদেরসংগ্রামসন্মান
Comments (0)
Add Comment