ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনে (ঈদের আগের দুদিন, ঈদের দিন এবং পরের দুদিন) সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই ঈদে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ গেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। পাঁচ দিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩১ জন। নিহতদের বেশির ভাগই কিশোর ও তরুণ।জানা গেছে, ঈদের আগের দুদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন।
এরপর ঈদের দিন নিহত হয়েছেন ১৩ জন। এরমধ্যে কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রামে পৃথক স্থানে তিনজন, গাজীপুরে পাঁচজন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে দুজন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেউথা এলাকায় একজন, মাদারীপুরের রাজৈরে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একজন, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একজন নিহত হন।
ঈদের পরের দিন ২৩ জন নিহত হন। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে মাথায় গাছের ডাল পড়ে একজন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শলেয়ালাহ বাজার এলাকায় মাইক্রোবাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন, মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মোল্লাকান্দি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালকসহ তিনজন, যশোরের চৌগাছার ইলিশমারী ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদদুইনপুর সীমানা এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুই জন, রাজধানীর দারুস সালাম থানার দারুস সালাম টাওয়ারের সামনে গাড়ির ধাক্কায় একজনসহ মোট ২৩ জন নিহত হন।
এরপর বৃহস্পতিবার নিহত হন ১৯ জন। এরমধ্যে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সিএনজি চালকসহ দুজন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ভাইয়ার দীঘি এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুইজন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এজজন, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একজন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় একজন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় পিকআপ চাপায় দুইজন, পাবনার ঈশ্বরদীতে দুইজনসহ মোট ১৯ জন নিহত হন।এছাড়া এই পাঁচ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।
ইবাংলা/ এসআর / ০৬ মে, ২০২২