বাংলাদেশের চতুর্দিকে সীমানা রয়েছে ভারত ও মায়ানমারের। আর এই সমস্ত সীমান্ত অঞ্চল থেকে মূলত মাদকের চালান বাংলাদেশে আসে।
বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন…ইবির অভয়ারণ্যে’র নেতৃত্বে রায়হান-অর্প
এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ২৫ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪.২৭৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
রাতে (৩১ জুলাই ২০২২)বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৯ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জালিয়ারদ্বীপ বরাবর নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
আরও পড়ুন…কলেজ অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের দিক-নির্দেশনায় উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ লতিফুল বারীর নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল রাতে জালিয়ারদ্বীপে গমন করে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
টহলদল জালিয়ারদ্বীপে অবস্থান করাকালীন ভোর ৩-৪ জন লোককে একটি কাঠের নৌকা নিয়ে মায়ানমার হতে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে।
উক্ত ব্যক্তিগণ জালিয়ারদ্বীপে আসলে পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে ও ধাওয়া করলে তাঁরা নৌকা থেকে লাফিয়ে নাফ নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ডুব সাঁতার দিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন…নতুন করে করোনায় ১৫ জন সংক্রমিত
পরবর্তীতে টহলদল নৌকাটি উদ্ধার করে নৌকার পাটাতনের নিচ হতে এবং মাছ ধরার জালের ভিতর পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দুইটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৪.২৭৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন…এএসআইয়ের বিরুদ্ধে মাল ক্রোকের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ
এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে একটি কাঠের নৌকা এবং ২৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটককৃত মাদকদ্রব্য, কাঠের নৌকা ও কারেন্ট জালের আনুমানিক সিজারমূল্য ২৫ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাঁদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন…ভাতের হোটেল’ নিয়ে আসছেন নায়িকা শুভশ্রী
উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন বাহিনী তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে ও কখনও কখনও যৌথ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে।
ইবাংলা/জেএন/৩১ জুলাই,২০২২