বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে ইউক্রেন অন্যতম। রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয় ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়।
কিয়েভে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর দেশটির খাদ্য শস্যের প্রথম চালান সোমবার সকালে ওডিসা বন্দর ছেড়ে গেছে। কৃষ্ণ সাগরে মস্কোর নৌ অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যাপারে এক ঐতিহাসিক চুক্তির আওতায় এ জাহাজ বন্দর ছেড়ে গেল। খবর এএফপি’র।
আরও পড়ুন…গৃহবধূকে অর্ধউলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ, টাকা আদায়
মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এমন ঘোষণাকে স্বাগত জানান। তুরস্কের পাশাপাশি তিনি এ চুক্তির ব্যাপারে মধ্যস্থতা করেন। এদিকে কিয়েভ জানায়, রাশিয়া তাঁদের পক্ষে এ চুক্তি ধরে রাখলে এটি ‘বিশ্বের জন্য পরিত্রাণ’ বয়ে আনবে।
সংঘাতপূর্ণ ইউক্রেন থেকে খাদ্য পণ্যের সরবরাহ বন্ধ থাকায় খাদ্য সামগ্রির দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে। এতে বিশ্বের একেবারে দরিদ্র দেশগুলো বিশেষভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। ইউক্রেন হচ্ছে বিশ্বের খাদ্য শস্য রফতানির বৃহত্তম দেশগুলোর অন্যতম।
কর্মকর্তারা জানান, সিয়েরা লিওনে নিবন্ধন করা রাজনি মালবাহী জাহাজ ২৬,০০০ টন ভুট্টা নিয়ে মাইন অপসারণ করে ফেলা কৃষ্ণ সাগরের একটি বিশেষ করিডোর দিয়ে তার গন্তব্যের উদ্দেশে এগিয়ে চলে। এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাহাজটি ২ আগস্ট ইস্তাম্বুলে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন…ইউরিয়া সার কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে
গত মাসে ইউক্রেন ও রাশিয়া এ যুগান্তকারি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর যুদ্ধরত পক্ষগুলোর অংশগ্রহণে এটি ছিল প্রথম গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।
বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির ফলে ইউক্রেন কর্তৃক প্রথম খাদ্যশস্য চালানোর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি খাদ্যশস্য দাম হ্রাস পাবে।
ইবাংলা/জেএন/০১ আগস্ট,২০২২