মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩শ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার (১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (লেবার হাউস) এ সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি পংকজ কন্দ।
আরও পড়ুন…রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিবর্ষণ
সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দী, বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা, জুড়ি ভ্যালীর সভাপতি শ্রীমতি বাউরি প্রমুখ।
এসময় চা শ্রমিক ইউনিয়নের ৭টি ভ্যালীর ( বালিশিরা ভ্যালী, লস্করপুর ভ্যালী, সিলেট ভ্যালী, চট্রগ্রাম ভ্যালী, মনু-ধলই ভ্যালী, লংলা ভ্যালী ও জুড়ি ভ্যালী) সভাপতি, সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে চা শ্রমিক নেতারা বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সময়ে বাজার দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে আমাদের চা-শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে।
আরও পড়ুন…ইউক্রেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক সহায়তা
আমরা বারবার বাগান মালিকদের সাথে বৈঠক করছি। কিন্তু তারা বারবার টালবাহানা করে মজুরি বৃদ্ধি করছেন না। এতে করে শ্রমিকরা ভিতরে ভিতরে ক্ষোভে ফেপে উঠছেন। মালিক পক্ষ আমাদের জানিয়েছে ১২০ থেকে ১৩৪ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করবে।
মাত্র ১৪ টাকা বাড়াবে। কিন্তু ১৪ টাকা বাড়ালে, ১৩৪ টাকা মজুরি হয়। এতে কি করে আমাদের হবে। আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হবে। আমরা ১৩৪ টাকা মজুরি দিয়ে কিভাবে চলবো।
আরও পড়ুন…খাদ্য শস্যের প্রথম চালান ছেড়েছে ইউক্রেন
বক্তব্যে আরো বলেন, আমাদের চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী মজুরী বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও মালিকরা চুক্তি ভঙ্গ করছেন। এমতাবস্থায় আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ চা সংসদের সাথে বসবো।
চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরী করার দাবী পেশ করবো। তারা যদি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কোন আশানরুপ কাজ না হয় তাহলে আমরা সারাদেশের চা শ্রমিকদের নিয়ে চা বাগানে কর্মবিরতীসহ বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দিবো এবং চা বাগানের সব কারখানা বন্ধ করে দিবো।
আরও পড়ুন…গৃহবধূকে অর্ধউলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ, টাকা আদায়
শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির বিষয়টি মুলত মালিক পক্ষের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মোতাবেক হয়ে থাকে। চা শ্রমিক ইউনিয়নের মালিক পক্ষের সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে।
তারা কয়েকবার মনে হয়ে বসছেন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে। আর তারা যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত, এবং ঐখান থেকে বের হয়ে না আসেন তাহলে কিছু করার থাকে না।
আর আইন অনুযায়ী আমাদের শ্রম দপ্তরেরও কিছু করার থাকে না। তবে, তারা যদি আমাদের কাছে আসে তাহলে আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে মিমাংসা করতে পারি।
ইবাংলা/জেএন/২ আগস্ট,২০২২