জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হেলসিঙ্কির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। হেলসিঙ্কি হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
২০ সেপ্টেম্বর জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ওই দিন বিকেলে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদফতরে উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজনেস গোলটেবিল: ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’-অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে সরকার প্রধানের।
২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ডারবান ডিক্লারেশন এন্ড প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সাধারণ পরিষদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন। এরপর বিকেলে, ‘রোহিঙ্গা সংকট: একটি টেকসই সমাধানের জন্য করণীয়’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
২৩ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচী: সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সদর দফতরে জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক আহ্বান করা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী, নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এছাড়াও জাতিসংশ মহাসচিব এবং ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং হেলসিঙ্কিতে যাত্রা বিরতির পর ১লা অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে সরকার প্রধানের। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর করোনা মহামারিকালে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।
ইই