নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সাবেক স্টেশন অফিসার এসএম তবিবর রহমান’র প্রফিডেন্ট ফান্ডের ৮ লাখ টাকার হদিস নেই। চাকুরী জীবন শেষ করে ২০২০ সালের ১ আগষ্ট তিনি পূর্ণ অবসরে যান। গত ৩ বছরেও প্রফিডেন্ট ফান্ডে তার জমা করা ৮ লাখ টাকা পাননি।
টাকাগুলো নড়াইলের তৎকালিন উপ-সহকারি পরিচারক মো.শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা গায়েব করে দিয়েছে বলে ভ‚ক্তভোগীর অভিযোগ। চাকুরী জীবনের সঞ্চিত ওই টাকা পেতে তবিরর রহমান গত ১৬ আগষ্ট ফাঁয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবিবর রহমান কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বাকা গ্রামের মৃত ইমান উদ্দিন শিকদারের ছেলে। অভিযোগে জানা যায়, চাকুরীর মেয়াদ শেষে এসএম তবিবর রহমান পূর্ণ অবসর গ্রহন করেন। অবসর ছুটি নিয়ে যথা নিয়মে তিনি প্রফিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পেতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
বিধি অনুযায়ী নড়াইল জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা তার প্রফিডেন্ট ফান্ড অগ্নি/ খুলনা/১৬২ নম্বর হিসাবের হিসাব চুড়ান্ত করেন। পরবর্তীতে স্টেশন অফিসার এসএম তবিবর রহমান’র প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য ২০২০ সালের ৯ মার্চ কর্র্তৃপক্ষ প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন।
প্রত্যয়ন অনুযায়ী ওই বছর ১১ মার্চ উপ-সহকারি পরিচালক, সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখায় তার ৩৩০০৪৭৬৩ নম্বর হিসাবে ৬৫২০০১ নম্বর একটি চেক জমা করেন। পরবর্তীতে টাকা গুলো তুলে সংশ্লিষ্টরা গায়েব করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলায় বদলি হয়ে যান।
অপরদিকে অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবর রহমান গত তিন বছর ধরে নড়াইল ফায়ার স্টেশনে ধর্ণা দিতে দিতে নিজেই এখন অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কিন্তু তার সঞ্চিত টাকা পাচ্ছেন না। এ বিষয় এসএম তবিবর রহমান বলেন,‘প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে অবসর ছুটিকালে আবেদন করা হয়।
কিন্তু নড়াইলের তৎকালিন উপ-সহকারি পরিচালক মো.শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা দিনের পর দিন তাকে ঘুরাতে থাকে। এরপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহে বদলি হয়ে যান। তারপর নড়াইল অফিস থেকে গত ৩ বছরেও কোন সুরাহা পাননি।
বর্তমানে শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। জীবনের শেষ সম্বল সঞ্চিত টাকা পেলে অন্তত চিকিৎসা নিতে পারতেন।’ নড়াইলের তৎকালিন উপ-সহকারি পরিচারক ও বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলায় কর্মরত মো.শামিমুল ইসলাম বলেন,‘তবিবর রহমানের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকার বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে অতিসম্প্রতি ঘটনাটি জানতে পেরে খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছেন ওই টাকা নড়াইল অফিসের অফিস সহায়ক নাহিদ হোসেন তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে।
তবে স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় নাহিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান।’ অফিস সহায়ক নাহিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘তবিবর রহমানের পাওনা টাকার বিষয়ে একাধিকবার অফিসে বসা হয়েছে। তবে কোন সুরাহাস হয়নি।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক মো.মাহাবুবুর রহমান বলেন,‘তবিবর রহমানের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পাওয়ার বিষয়ে মহাপরিচালকের নিকট অভিযোগ দায়েরের ঘটনাটি জেনেছেন। কর্র্তপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
ইবাংলা/জেএন/২১ আগস্ট,২০২২