বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে উত্তর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রয়েছে। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক প্রথম ইউনিট ও তৃতীয় ইউনিট থেকে কয়লা সরবরাহের সংকট থাকলেও উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিটি ১৯৮৫ইং সালে আবিস্কৃত হলেও ভূ-গর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন চলছে। ৬.৬৮ বগর্ কিলোমিটার কয়লা ক্ষেত্র থেকে ১১৮ থেকে ৫০৬ মিটার গভীরতায় ৬টি স্থরে কয়লার মজুদ ৩৯০ মিলিয়ন টন। বর্তমান বিপুল পরিমান কয়লা উত্তোলন হওয়ার পর এখন খনির পয়েন্ট পরিবর্তন করে অন্য পয়েন্ট থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
এ জন্য প্রতি দিন দুই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার প্রয়োজন প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার পরেও উৎপাদন অব্যহত রেখেছে। দেশের উত্তর অঞ্চলের শিল্প কলকারখানা ও কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়াতে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের সহযোগীতা করছে। এতে শিল্প কলকারখানা ও কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত রোববার (২১ আগস্ট) থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক ৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা উৎপাদন হচ্ছে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। দেশের উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় চলতি বছর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকলেও বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যহত রয়েছে।
আরও পড়ুন…সারাদেশে বাড়তে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার জানান, আমি ২০২০ইং সালে এখানে যোগদান করার পর ১নং ও ২নং ইউনিট এর অবস্থা খারাপ ছিলে এরপর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দক্ষ প্রকৌশলী, কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে নিয়ে ঐ দুটি ইউনিট সচল করার পর পর্যায় ক্রমে দুটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমান উত্তর অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা কমে এসেছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভিজ্ঞ প্রকৌশলী কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্ঠায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন অব্যহত রেখেছে।
ইবাংলা/জেএন/২৪ আগস্ট,২০২২