আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষেই সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি। এ ক্ষেত্রে দুই লাখের বেশি সিসি ক্যামেরা ইসির প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছে ইসি কর্মকর্তরা।নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এরইমধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারেরও পরিকল্পনা করছে হাবিবুল আউয়াল কমিশন।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংসদ নির্বাচনের আগে সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সুফল যাচাই করছে ইসি। অর্থ বরাদ্দসহ সব কিছু বিবেচনায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। যদিও শুধু সিসি ক্যামেরা বসানোয় সমাধান দেখছেন না নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা।
ইসির আইডিয়া প্রকল্প-২-এর ডিপিডি কমিউনিকেশন অফিসার স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। বিগত কিছু নির্বাচনে এর সুফল মিলেছে। তাই জাতীয় নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করলে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করলে কেউ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা করার সাহস পাবে না। ভোট নিয়ে অভিযোগ এলেও সেগুলোর সমাধান মিলেবে। সার্বিক বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনে সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হতে পারে।
কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের ইচ্ছা আছে। ৩০০ আসনের জন্য অনেক টাকা দরকার, আমরা পারলে করব না-হলে ঝুঁকিপূর্ণগুলোতে করতে হবে। নির্বাচনের এখনও অনেক দিন বাকি। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন…স্কুল শিক্ষকরা এমপিও পেলেন বঞ্চিত হলো মাদ্রাসা
তবে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, সিসি ক্যামেরা ব্যবহার অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ফুটেজ সংগ্রহে রাখা যায়। কিন্তু বিশৃঙ্খলাকারীরা প্রমাণ না-রাখার জন্য সিসিটিভিগুলো ভেঙে ফেলতে পারে। কিছু তস্কর এর বিপরীতে অভিনব পন্থা আবিষ্কার করবে। সে বিষয়ে কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ দিকে ইসির সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনাকে লোক দেখানো বলে দাবি করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
ইবাংলা/জেএন/২৮ আগস্ট,২০২