সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রাকৃতিক চারণভূমির আয়তন হ্রাস পাওয়া ও পশুপালন শিল্পের দ্রুত উন্নয়নের কারণে ঘাসের ওপর চাপ বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুওনানরেনছিং হাইড্রোপনিক ঘাস চাষ করার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করেছেন।
সুওনানরেনছিংয়ের হাইড্রোপনিক ঘাস ধারকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আছে। ধারকে ঘাস অনেক ভালভাবে বড় হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আগে আমি ভাবিনি যে, পানিতে ঘাস চাষ করা যায়। এভাবে চাষ করলে বীজ শুধুমাত্র সাত দিনের মাথায় উচ্চ-মানের ঘাসে পরিণত হয়, যা গবাদিপুশুরা খেতে পারে। এ ধরণের ঘাস ঋতুনির্ভর নয়। সারা বছরজুড়েই এর চাষ করা সম্ভব। এ ঘাস যেন মালভূমির আলৌকিক ঘটনা। অনেক পশুপালক আমার কাছ থেকে ঘাস কিনে থাকেন।’এ ধরণের ঘাস খাওয়ালে পশুরা সতেজ হয়। সেজন্য বাজারে এদের চাহিদা বেশি।
আরও পড়ুন……বিশ্বে চীন তরমুজ উৎপাদনে শীর্ষে
সুওনানরেনছিংয়ের গ্রামের পশুগুলো সিনিং ও ছেংদুসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় হয়। আগে বিরূপ আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তাঁর গ্রামে গরু ও ভেড়া প্রতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর— এই দুই মাসে বিক্রি হতো। কিন্তু এ সময় মাংসের দাম সাধারণত কম, আর স্থানীয় বাসিন্দাদের আয় কম।
সুওনানরেনছিং বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বরের পর মাটিতে তাজা ঘাস জন্মে না। ফলে না-খেয়ে পশুগুলোর ওজন কমে যায়। বিষয়টি ছিল স্থানীয় পশুপালকদের কষ্ট।এ সমস্যা সমাধানের জন্য সুওনানরেনছিং উপায় খুঁজছিলেন। একজন বেইজিংয়ের বন্ধু তাঁকে হাই হাইড্রোপনিক ঘাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
২০২১ সালে সুওনানরেনছিং একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে স্বয়ংক্রিয় হাইড্রোপনিক রোপণ ব্যবস্থা গবেষণা ও গড়ে তোলেন। তিনি নিজের গ্রামে ২ শতাধিক বর্গমিটারের কারখানা নির্মাণ করেন। তিনি দুই ধারকে হাইড্রোপনিক ঘাস রোপন শুরু করেন। তবে প্রথমে তাকে অনেক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এক কেজি বীজ থেকে ৬ থেকে ৭ কেজি ঘাস হবে। তবে প্রথমে তাঁদের শুধুমাত্র ৩ থেকে ৪ কেজি ঘাস হতো। সুওনানরেনছিং প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে এ নিয়ে পরামর্শ করেন।
আরও পড়ুন………তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
অনেক বার পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁরা ঘাসের ফলন বৃদ্ধিতে সক্ষম হন। বর্তমানে তাঁদের ঘাস ভালভাবে বড় হচ্ছে। তাঁদের ঘাস কাছাকাছি সমবায় ও পশুপালকদেরকে সরবরাহ করা হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় পশুপালকরা সমস্ত বছর ধরেই পশুপালন করতে পারেন।
হাইনান বান্নারের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কমিটির স্থায়ী সদস্য ও কংহ্যে জেলার সিপিসির কমিটির চেয়ারম্যান চাং ফেং বলেন, হাইড্রোপনিক ঘাস প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় পশুপালকদের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করা যায়।
সম্প্রতি সুওনানরেনছিং ইনারমঙ্গোলিয়া, সিনচিয়াং, কানসু ও নিংসিয়া থেকে ঘাসের অর্ডার পাচ্ছেন। হাইড্রোপনিক ঘাস শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশও আরো সুন্দর হয়েছে।সূত্র: ছাই ইউয়ে,সিএমজি।
ইবাংলা/ মশিউর/২৯ জুলাই,২০২২