৭৯ বছর বয়স হয়েছিল তার মৃত্যুকালে। কিংবদন্তি গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৪ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নে অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়।জয় তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমার মামা বাংলাদেশের কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার আজ সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের নেওয়ার পথে ইন্তেকাল করেছেন।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার নামাজে জানাজা এবং অন্যান্য যাবতীয় যা কিছু কখন হবে, আমি ফেসবুক স্ট্যাটাসেরর মাধ্যমে জানিয়ে দেব।’
সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
আরও পড়ুন…বায়রা নির্বাচনে এগিয়ে সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ
জয় বাংলা বাংলার জয়, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’,সহ অসংখ্য কালজয়ী বাংলা গানের গীতিকার চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতা গুণী এই গীতিকবি। গানগুলো হচ্ছে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না’।তিনি একজন সফল কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক।
আরও পড়ুন…বান্দরবানে ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারে যুদ্ধ বিমান
তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেশ চিত্রকথা থেকে ‘শাস্তি’, ‘স্বাধীন’, ‘শর্ত’, ‘সমর’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘স্নেহ’, ‘তপস্যা’, ‘উল্কা’, ‘আম্মা’, ‘পরাধীন’, ‘আর্তনাদ’, ‘পাষাণের প্রেম’, ‘এই যে দুনিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন।
১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তার রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি।
আরও পড়ুন…চা-শ্রমিক মনি-রীতার সঙ্গে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী
তার গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ, অনুভূতির কথা।গীতিকার হিসেবে ৫ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন এই কিংবদন্তী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
ইবাংলা/তরা/৪ সেপ্টেম্বর ২০২২