তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জীবন ও জাতি গঠনে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপ্রেস গ্রুপের কার্যালয়ে চ্যানেল আই টেলিভিশন সম্প্রচারের ২৩তম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বরেণ্য সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন, সাদী মোহাম্মদ, চ্যানেল আই পরিচালক শাইখ সিরাজসহ চ্যানেলটির সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর অনলাইনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
কেক কাটার পূর্বে চ্যানেল আইকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জীবন ও জাতি গঠন কাজের একটি অন্যতম উদাহরণ চ্যানেল আই। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছুনোর লক্ষ্যে গত ২২ বছর ধরে কাজ করেছে চ্যানেল আই এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে আশা করি, বলেন ড. হাছান।
পরে আইন অনুসারে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এদিন থেকে চলমান মোবাইল কোর্ট প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিনফিড না চালানোর প্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নী হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নী হয়। আইনভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো, অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।’
ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেকারণেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, জানান ড. হাছান। ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাশ হলে, প্লাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইই