বরগুনার বামনা উপজেলার বুকানিয়া ইউনিয়নের এক প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা ইউপি সদস্যের বিকাশ নম্বারে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ওই ভূক্তভোগী প্রতিবন্ধি ইউপি সদস্য বাশারের বিচার চেয়ে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন…মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় তলব
জানা যায়, অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যর নাম আবুল বাশার মাতুব্বর। তিনি বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। ভুক্তভোগী একই ওয়ার্ডের চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী মো. আবুল বাসার (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের হোসেন আকনের ছেলে।
ভুক্তভোগী আবুল বাসারের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, তার স্বামী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিন বছর ধরে কথা বলতে পারেন না। উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হলে গত বছর ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করানো হয়।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফোন নম্বর তার ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল বাশার মাতুব্বরকে দেওয়া হয়। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনলাইনে তার স্বামীর ভাতার জন্য আবেদন করিয়ে দেন। কিন্তু আবেদনের সময় তার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কৌশলে তার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি নম্বর অনলাইন আবেদন ফরমে এন্ট্রি করেন।
যে নম্বরটি তার ছেলে ব্যবহার করতেন। চারবার ওই নম্বরে ভাতার টাকা গেলেও তিনি তাদের না জানিয়ে সব টাকা আত্মসাৎ করেন। সবাই ভাতা পেলেও তারা ভাতা না পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার দপ্তরে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন ভাতা কার্ডে যে নম্বর দেওয়া সেটি ওই ইউপি সদস্য বাশার মাতুব্বরের ছেলে ব্যবহার করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল বাশার মাতুব্বর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ফোনে একটি ভাতার টাকা আসে। তবে টাকাটি কার আমি প্রথমে জানতাম না। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই টাকা প্রতিবন্ধী আবুল বাসারের। পরে তাদের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এমনকি তারা অদ্যাবধি আমার ফোনটাও রিসিভ করেনি।
আরও পড়ুন…মাঠে চলছে জবিয়ানদের জয়জয়কার
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজান সালাউদ্দিন বলেন, আমি শুনেছি,ভূক্তভোগী প্রতিবন্ধি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্যার আমাকে ওই অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলে আমি তাদের সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ নেব।
ইবাংলা/জেএন/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২