বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত ও জলবায়ুর গুরুত্বে জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

ইবাংলা প্রতিবেদক

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ভাষণে সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা ও জলবায়ুর ওপর জোর দিয়ে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) ইউএনজিএ-র ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ দেবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মকান্ড সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন একথা বলেন।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বহুপাক্ষিকতার ওপর জোর দেবেন। মোমেন বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি জোর দেবো, আমরা বলব যে কোনো ধরনের সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হল সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান।’

আরও পড়ুন…রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা এ বিষয়টিও উল্লেখ করবেন যে, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারীকে খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করেছে এবং মহামারী মোকাবেলায় বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তিনি বলেন, মহামারী সত্ত্বেও, বাংলাদেশ যথেষ্ট অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে এবং তা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরবেন।

‘আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ এবং প্রণোদনা দিয়েছি। আমরা সে গুলোও সেখানে তুলে ধরব,’ তিনি যোগ করেন। মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে জলবায়ু সমস্যাও তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলি যে, আমাদের বিশ্বকে বাঁচাতে হবে এবং এই বিশ্বকে বাঁচাতে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হল বৈশ্বিক তাপমাত্রা অবশ্যই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়া উচিত নয়।

আমরা প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না, এতে বিশ্বকে বাঁচাতে প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ছিল।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আশা করে যারা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী তারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব ভাগ করে নেবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সেটাই তুলে ধরবেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন…দেশে মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছে। ‘আমরা মানুষকে একটি বাড়ি এবং একটি জীবন দিচ্ছি। আমরা বিশ্বকে দেখাব যে আমরা খুব ভাল কাজ করেছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মূল ফোকাস হচ্ছে দেশটি শান্তি চায়। ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন’।

ইবাংলা/জেএন

জাতিসংঘেপ্রধানমন্ত্রীভাষণ