বরগুনায় গুদামে ঢোকাচ্ছে পুরাতন ও লাল-নষ্ট চাল

গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :

বরগুনার আমতলী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ওসি এল এস ডি) মোঃ কবির বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ নিয়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে নিম্ন মানের লাল চাল সংগ্রহ করছেন। এই কবিরের বিরুদ্ধে রয়েছে দূর্নীতির নানা অভিযোগ। বস্তা থেকে চাল সরিয়ে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগও করেছেন অনেক ইউপি সদস্য। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মিল মালিকদের কাছ থেকে ধানের বিনিময়ে চাল সংগ্রহের কথা থাকলেও এই কর্মকর্তা করছেন উল্টো, গত বছরের পুরাতন লাল নষ্ট চাল দিয়ে পূর্ণ করছেন গোডাউন।

আরও পড়ুন…হতদরিদ্র নারীরা পেল গর্ভকালীন ওষুধ, পুষ্টিকর খাবার ও অনুদান

সরজমিনে গোডাউনে গিয়ে দেখা যায় চাল ভর্তি দুটি বড় সাইজের ট্রাক থামিয়ে আছে গোডাউনের সামনে। শ্রমিকরা দ্রুত চাল গোডাউনে খালাস করতে ব্যস্ত। প্রশ্ন করতেই তারা বলেন বড় কর্তা ভিতরে তারা এই বিষয়ে কিছুই যানেন না। তবে এর আগেও আরো ১টি ট্রাক খালাস করা হয়েছে এই গোডাউনে। কতটন চাল সেই খবর দিতে না পারলেও সারাদিন চাল উঠানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন এই শ্রমিকেরা ।

ভিতরে গিয়ে পাওয়া গেল বড় কর্তাকে তিনি নিজেকে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নিজের নাম বলেন কবির। দ্রুত এমন করে চাল খালাস করছেন কেন? এত লাল চাল আপনি কিভাবে কিনলেন? প্রশ্ন করলে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

সংবাদকর্মীদের হাত পা ধরে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন এক পর্যায়ে। এমনকি বিধিবহির্ভূত ভাবে ৫০ কেজির বস্তায় করে চাল কিনেছেন তিনি। কত টাকা ঘুষের বিনিময়ে গরিব অসহায় মানুষদের কপাল পুড়ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানেন না ৫০ কেজির চাল সংগ্রহ করা যাবে। লাল চালের বিষয়ে মন্তব্য চাইলে ধান ভালো ছিল না বলে জানান এই কর্মকর্তা। মিল মালিক শামিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান যারা ঘুষ দিতে পারে তাদের কাছ থেকেই চাল সংগ্রহ করা হয় তা যতই নিম্নমানের হোক।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম সাদিক তানভীর বলেন, আমি ছুটিতে আছি আগামী সপ্তাহে আসব, তিনি এমনটা করলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বরগুনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করছি। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নয়াদিগন্তকে বলেন, আমি ছুটিতে আছি দু দিন পর আসবো, আপনার কাছে প্রমান থাকলে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে দিন আমি দেখি, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান নয়াদিগন্তকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্মকর্তাদের ছুটির সুযোগে এই চাল কাদের দিয়েছেন। কোথায় সরিয়েছেন এমন প্রশ্ন সকলের মনে। সবাই আশা করেন শীঘ্রই মিলবে সব প্রশ্নের উত্তর।

ইবাংলা/জেএন/১৩ অক্টোবর ২০২২

পুরাতন ও লাল-নষ্ট চাল