আই.এম.এল জবিতে দিনব্যাপী রিসার্চ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জবি প্রতিনিধি:

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আই.এম.এল), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘কোয়ালিটেটিভ এ্যান্ড কোয়ানটিটেটিভ রিসার্চ মেথোডোলোজিসঃ কনডাক্টিং রিসার্চ এজ অ্যা বিগিনার’ (Qualitative & Quantitative Research Methodologies: Conducting Research as a beginner) শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে। বুধবার (২৬শে অক্টোবর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ একাডেমিক বিল্ডিংয়ের ৬ষ্ঠ তলায় সিএসই বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় শেষ হয়।

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোন্তাসির হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন প্রভাষক সুরাইয়া আক্তার সুমনা। মূল বক্তা হিসেবে গবেষণার যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন আই.এম.এল-র প্রভাষক বেনজীর এলাহি মুন্নি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আই.এম.এল-র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার, প্রভাষক রাবিতা রহমান ও অর্পিতা হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আই.এম.এল সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন…ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর এরুডাইট স্কলার’২২ পেলেন জবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. প্রতিভা

প্রারম্ভিক বক্তব্যে অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার রিসার্চ সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করেন। একইসাথে তাঁর রিসার্চকালীন সময়ের চড়াই-উতরাই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন যা রোমাঞ্চকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল।

 অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার

এরপর কর্মশালার মূল বক্তা প্রভাষক বেনজীর এলাহি মুন্নি ‘গবেষণা কী? কীভাবে গবেষণা করতে হয়? কীভাবে টাইটেল সিলেকশন করতে হয়, কীভাবে লিটারেচার রিভিউ করতে হয়?…’ এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের রিসার্চ বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

প্রভাষক বেনজীর এলাহী মুন্নি

কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্যে খন্দকার মোন্তাসির হাসান সারা বিশ্বে প্রকাশিত রিসার্চ আর্টিকেলের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের অবস্থান তুলে ধরেন; যেখানে চীন প্রথম, আমেরিকা দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ ৫৬ নম্বর অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের অবস্থান আরোও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের রিসার্চের ব্যাপারে আগ্রহী হতে আহবান জানান।

সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোন্তাসির হাসান

কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে আই.এম.এল-র চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাহসিনা ইনাম তৃষা বলেন, রিসার্চ সম্পর্কে আমরা সম্যক ধারণা পেয়েছি। তবে, এরকম ওয়ার্কশপ দুই তিন দিন ধরে করলে আরও বেশি উপকৃত হবো। এতে আমরা যেমন রিসার্চের প্রতি আগ্রহী হচ্ছি, এমনি করে আগামী প্রজন্মও রিসার্চের প্রতি আগ্রহী হবে।

আরও পড়ুন…তিন পেরিয়ে উদ্যোক্তা ইরার “কাঠপোকা”

জবি ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী লিমন বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার সুদূরপ্রসারী এই ধরনের উদ্যোগ অনস্বীকার্য। গবেষণায় এগিয়ে যাওয়া মানে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নতুন রিসার্চারদের আগামী সুন্দর হোক, সেই সাথে গবেষণার উঁচু শিখরে উঠে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করুক বিশ্ব দরবারে।

দিনব্যাপী কর্মশালার শেষ অংশে উপস্থিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

ইবাংলা/আরএস/২৬ অক্টোবর, ২০২২

আই.এম.এল