ভারতের গুজরাটের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলের একটি সেতু সংস্কারের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ভেঙে পড়েছে। এতে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছে। নদীতে তলিয়ে যাওয়া আরও শতাধিক মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। সরকার এ ট্র্যাজেডির দায় নেবে বলে জানিয়েছেন একজন মন্ত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুলন্ত সেতুটি রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে ভেঙে পড়ে। তখন প্রায় ৫০০ জন ছট পূজার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আচার-অনুষ্ঠান করতে এতে জড়ো হয়েছিল। দিনের বেলার ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ যখন সেতু দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, তখন এটি বিপজ্জনকভাবে দুলছে।
আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
খবরে বলা হয়েছে, মাচ্চু নদীর পানিতে এখনও প্রায় শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেকে পানির মধ্যে বাঁচার জন্য লড়াই করছে। অন্ধকারে তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
নিহতদের অনেকেই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোরবিতে ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার করা হয়েছিল এবং গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেওয়া হয়৷
এসডিআরএফ দল, ফায়ার ব্রিগেড-সবাই উদ্ধারকাজে নিয়োজিত। কিন্তু আলো না থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা। গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা এনডিটিভিকে বলেন, গত সপ্তাহে সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে। আমরাও হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সরকার এই ট্র্যাজেডির জন্য দায় নেবে। খবরে বলা হয়, এখনও প্রায় ১০০ জন পানিতে আটকে পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিজেশ মের্জা এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সব শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে রয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি মরবিতে রওনা হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে বলেন, মোরবিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই বিষয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল টুইট করে বলেন, মোরবির ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো নাগরিকদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন..হাতিয়াতে ৬ হরিণ শিকারী আটক
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেবে। সূত্র : এনডিটিভি
ইবাংলা/জেএন/৩০ অক্টোবর ২০২২