নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা—সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এর আয়োজন করা হয়।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত বুধবার নতুন জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জামায়াত আমিরের ছেলে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তার কাছে পিতার সংগঠনের কোনো নির্দেশনা ছিল কি না অথবা তাদের নির্দেশে তিনি জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন…মধুমতি সেতুতে এক মাসে কোটি টাকার টোল আদায়
তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়দাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেজাদুল ইসলাম সাহাব (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা সিলেট থেকে হিজরত করেছিলেন। বাংলাদেশে সম্প্রতি যত যুবক হিজরত করেছেন এর মধ্যে সিলেটে বেশি। সর্বপ্রথম সিলেট থেকেই হিজরত শুরু করেন তারা। সেই হিজরতের মাস্টার মাইন্ড ডা. রাফাত। তার নেতৃত্বেই ২০২১ সালের জুন মাসে ১১ যুবক সিলেট থেকে হিজরত করে। তখন এ নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রাফাত দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের ধর্মভীরু যুবকদের জিহাদ ও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। তারা বেশ কয়েকজন যুবককে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণও দিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হিজরত করতে প্রস্তুত সিলেট অঞ্চলের আরও বেশ কয়েকজন যুবককে আমরা শনাক্ত করেছি। হিজরতের আগেই আমরা মাস্টার মাইন্ড ডা. রাফাতকে গ্রেফতার করেছি। তিনি এক সময় শিবির করতেন। তবে কি ধরনের নেতা ছিলেন সেটা জানায়নি।
বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে তার যে সিক্রেট যোগাযোগ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র মাস্টার মাইন্ড শামীম মাহফুজ ও তার সহযোগী তমালকে তাদের গ্রেফতার করা গেলে সংগঠনটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানা যাবে।
ইবাংলা/জেএন/১০নভেম্বর ২০২২