চীনে কৃষির আধুনিকায়ন হচ্ছে অনন্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়েক দশকে কৃষির উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে চীন। এখন গ্রামের খামারগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন প্রযুক্তি ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি। ফল ও ফসল উৎপাদনে বাম্পার ফলন এখন চীনের কৃষিকে পৌছে দিয়েছে অনন্য অবস্থানে। চলুন ঘুরে আসা যাক বিভিন্ন প্রদেশের আধুনিক কৃষি খামার থেকে।

দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ। ফসল কাটছে হারভেস্টার মেশিন। গত কয়েক দশকে চীনের কৃষি ও গ্রাম উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির ফসলতোলা মেশিন, ড্রোন প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ।

আরও পড়ুন…সুখবর দিলেন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান

২০১২ সালে সিপিসির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসে গৃহীত নীতিমালায় কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়। মূলত এর পর থেকেই কৃষি উন্নয়নে অগ্রযাত্রা এবং কৃষিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং কৃষি ও গ্রাম উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কৃষি উৎপাদন বিষয়ে আলাপ করেছেন। তিনি উত্তর পশ্চিম চীনের হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আঙুর চাষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করেছেন।

শায়ানসি প্রদেশের গ্রিনহাউসে ছত্রাক ও অন্যান্য কৃষি পণ্য খামারগুলো পরিদর্শন করেছেন তিনি। উন্নতমানের বীজ উৎপাদনের উপর ফসলের বৃদ্ধি নির্ভর করে। দক্ষিণে হাইনান প্রদেশের সীড ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন সি।চীনের শাংতুং প্রদেশের সয়াবিন ক্ষেত্র পরিদর্শন করেন সি।

চাং হোংইয়ু, ডেপুটি ডিন, চায়না ইন্সটিটিউট অব রুরাল স্টাডিজ, ছিংহুয়া ইউনিভারসিটি। তিনি বলেন, ‘ ১৮তম সিপিসি জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকেই পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি সি চিনপিং কৃষি, গ্রামীণ জনগণের বিষয়কে বিস্তৃত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে দেখছেন এবং জাতীয় অর্থনীতির সার্বিক কাঠামোতে গ্রাম ও কৃষি উন্নয়নকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। জেনারেল সেক্রেটারির দূরদৃষ্টির পরিচয় তৃণমূলে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে।’

আরও পড়ুন…ইবির আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষা সফর সম্পন্ন

আধুনিক কৃষি উৎপাদন, বনায়ন এবং পানি সংরক্ষণে বিভিন্ন প্রকল্পে জাতীয় ব্যয় বছরে গড়ে ৭.১ শতাংশ বেড়েছে। ৬০ মিলিয়ন হেক্টরের বেশি জমিতে উচ্চমানের কৃষিভূমি গড়ে তোলা হয়েছে। গত দশ বছরে ফসল চাষ ও তোলায় প্রযুক্তির ব্যবহার ১৫ থেকে ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

সেচ ব্যবস্থায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। আধুনিক প্রযুক্তির সেচ ব্যবস্থা ফল ও ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থাতেও অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। ক্ষেত থেকে ফল ও ফসল সংগ্রহ চলছে আধুনিক প্রযুক্তিতে।

সুন ফাচুন, ডেপুটি ডিরেক্টর, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিক্ষা বিভাগ, চীনা কৃষি ও গ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘ জেনারেল সেক্রেটারি সি চিনপিং লক্ষ্য করেছেন যে, কৃষির প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবে যদি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়। গত দশ বছরে চীন প্রধান উদ্ধিতগুলোর চাষ করেছে ব্যাপক পরিসরে। গ্রিন প্রোডাকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। গ্রাম ও কৃষি উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।’

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

সমন্বিত পরিকল্পনা, দূরদৃষ্টি এবং প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ফল ও ফসল উৎপাদন যেমন বেড়েছে তেমনি কৃষিপণ্য সংরক্ষণ বাজারে বিপণন ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। মাঠভরা ফসল বিশ্ব কৃষি উৎপাদনে সাফল্যের পরিচয় বহন করে চলেছে। লেখক: শান্তা মারিয়া,সিএমজি।

ইবাংলা/জেএন/১৮ নভেম্বর ২০২২

আধুনিকায়ন হচ্ছে অনন্য