মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতে প্রথমবার বিশ্বকাপের আসর বসেছে কাতারে। মরুর বুকে যেমন প্রথম বিশ্বকাপ তেমন অনেকগুলো নতুন নিয়মও এসেছে এবারের বিশ্বকাপে। তার ভেতরেই ভক্ত সমর্থকদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে প্রতিটি ম্যাচেই ইনজুরি টাইমের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের প্রথম রাউন্ডের ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচেই দলগুলো লম্বা সময় ধরে অতিরিক্ত সময়ে খেলতে বাধ্য হচ্ছে, যা চোখে পড়ার মতোই একটি ঘটনা।
আরও পড়ুন…কেউ বেকার থাকবে না সেই ব্যবস্থা করেছি
সাধারণত দুই অর্ধে ৪৫ মিনিট করে ৯০ মিনিটে একটি ফুটবল ম্যাচ শেষ হয়। তবে এর সুঙ্গে ইনজুরি, খেলোয়াড় বদলি ও গোলের পর তার উদযাপনের জন্য নির্ধারিত সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময় যোগ করা হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে রেফারিরা হয়তো ৩ থেকে ৪ মিনিট করে অতিরিক্ত সময় যোগ করেছেন। কিন্তু এবার শুরু থেকেই তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। ইতোমধ্যেই যোগ করা সময়ের পরিধি দেখে অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইংল্যান্ড-ইরানের মধ্যকার ম্যাচে প্রথমার্ধে ১৫ মিনিট ইনজুরি টাইম ছিল। যদিও ইরানিয়ান গোলরক্ষকের ইনজুরির কারনে বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হয়েছে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা হয় আরো ১৪ মিনিট। নেদারল্যান্ড বনাম সেনেগালের মধ্যকার ম্যাচটিতে দ্বিতীয়ার্ধে ১১ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েলসের ম্যাচে ছিল ১১ মিনিট। আর্জেন্টিনা-সৌদি আরবের ম্যাচেও দ্বিতীয়ার্ধে ১৪ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছিল।
অতিরিক্ত টাইম বেশি দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ব ফুটনলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি মিনিটের খেলা যাতে মাঠে গড়ায় তা নিশ্চিত করাই এবারের আসরের মূল লক্ষ্য।
এ সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিফা রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান পিয়ারলুইজি কলিনা বলেন, ‘বিশ্বকাপ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপে ৬৪ ম্যাচের আগে রেফারিজ প্যানেলের ১২৯ জন রেফারিকে একটি সহজ বার্তা দেওয়া হয়েছিল, প্রতিটি অর্ধে অতিরিক্ত সময়ের ব্যপারে রেফারিরা যেন নির্ভূল ভাবে গণনা করতে পারে। নির্দিষ্ট কোন ঘটনার জন্য ক্ষতি হওয়া প্রতিটি সেকেন্ড যেন দুই দলই ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফিরে পায়।’
আরও পড়ুন…‘বিনিময়’ প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রতারণা ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ
কলিনা আরও বলেন, অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে যুক্ত থাকবে ইনজুরি চিকিৎসা, বদলি, পেনাল্টি কিক, লাল কার্ড এবং বিশেষ করে গোলের পর লম্বা সময় ধরে তা উদযাপন। একটি দল যদি তিন থেকে চারটি গোল দেয় তবে স্বাভাবিক ভাবেই ঐ ম্যাচটিতে তিন থেকে পাঁচ মিনিট নষ্ট হবে। এই সময়গুলো অবশ্যই ইনজুরি টাইম হিসেবে যোগ হবে।
ইবাংলা/জেএন/২৪ নভেম্বর ২০২২