বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ পূর্বাচল থেকে যেহেতু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত আসতে পেরেছে, তাহলে পল্টন ময়দানেও আসবে। পল্টন ময়দানেই হবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ।
এখন পর্যন্ত ৭ বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে উজ্জীবিত দলটির নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে পরিবহন ধর্মঘট, পথে পথে বাধা, হামলা, গ্রেফতার সত্তে¡ও পায়ে হেটে, নৌকা, অটো, ভ্যান গাড়ীসহ নানা মাধ্যমে এসে গণসমাবেশে যোগ দিয়েচছন।শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন…পরিবহন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চরম ভোগান্তিতে সুনামগঞ্জ
তিনি বলেন, গুম-খুন আর হত্যার হুমকি দিয়ে কুমিল্লার তথা বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। মানুষ এখন এ সরকারকে আর চায় না। তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ শেখ হাসিনা নিজেই। তিনি যশোরে বলেছেন, আপনারা যারা এই লুটকারী বিএনপি ও সাজাপ্রাপ্ত নেত্রী ও তার ছেলে পলাতক আসামিকে ক্ষমতায় চান, তারা কেন চান বুঝি না। তার কথাতেই প্রমাণ হয়, তিনি বুঝে গেছেন সরকারের সময় নেই। আমরা আগামীকালের সম্মেলনে অবৈধ, ফ্যাসিবাদ সরকারকে লাল কার্ড দেখাব।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ এলাকায় নেতাকর্মীদের হামলা ও হয়রানির অভিযোগ এসেছে। তারা সব জায়গায় বলে আসছে খেলা হবে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, খেলাধুলাতে বিএনপি বিশ্বাস করে না। আমরা রাজনীতি করতে এসেছি।
কোনো বিবাদ-বিদ্বেষ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, হত্যা, গুম-খুন এগুলো আমরা করি না। সুতরাং সরকার খেলতে চাইলেও আমরা খেলব না, রাজনীতি করব। তারা বলছেন লোডশেডিং নেই। অথচ জাদুঘরের বিদ্যুতে বাংলার মানুষ লোডশেডিং বিপর্যয়ে আছে।
এ সময় বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ইতোমধ্যে চলে এসেছে এবং আসছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের সাজানো বাস ধর্মঘটে কোনো কাজ হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারি আবু, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ মোল্লা টিপু ও সদস্য কাউসার জামান বাপ্পি।
ইবাংলা/জেএন/২৫ নভেম্বর ২০২২