বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাহলে রাসেল ডমিঙ্গো অধ্যায় শেষই হয়ে গেল! বিসিবির সিদ্ধান্তে আকস্মিক কোনো রদবদল না এলে এখন শুধু তাঁর বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতাটাই বাকি। আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও তিন টি–টোয়েন্টির হোম সিরিজের আগে বা সিরিজের মধ্যেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করতে পারে বিসিবি।
২০২২ সাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুব বেশি পয়মন্ত না হলেও অতটাও খারাপ কাটেনি। ওয়ানডে ফরম্যাটটা বাংলাদেশ বরাবরই ভালো খেলে। চলতি বছরও তার খুব একটা বাত্যয় ঘটেনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ব্যতীত এই ফরম্যাটটা ভালোই কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
আরও পড়ুন…মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪০
কেবল ওয়ানডে নয় চলতি বছর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতেও উন্নতির ছাপ দেখা গেছে টাইগারদের মধ্যে। যদিও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো করার জন্য কোচ হিসেবে কৃতিত্ব নিয়ে নেবেন বাংলাদেশের নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। কেবল বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জেতা মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্ট জয়ের জন্য আলাদা করে কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
এ ছাড়া চলতি বছর টেস্টের অন্য ম্যাচগুলোতে লড়াইয়ের আভাস দিলেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। টেস্ট ছাড়াও চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এবং ঘরের মাঠে ভারতকে ওয়ানডে সিরিজের কৃতিত্ব পাবেন ডমিঙ্গো। এসব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সন্তুষ্ট আছেন এই প্রোটিয়ান কোচের প্রতি।
তবে খুব বেশি খুশি করতে পারেননি ডমিঙ্গো। বিশেষ করে লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকলেও হাইলি কম্পিটিটিভ করে তুলতে পারেননি এই কোচ। এমনকি এই কোচের ক্রিকেট দর্শনটাও লম্বা সময়ের জন্য দলের জন্য সুখকর বলে মনে হচ্ছে না বোর্ডের কাছে। দলের উপর কোচের কতৃত্বেরও অভাব রয়েছে ডমিঙ্গোর।
এদিকে সদ্যই বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আলাদা দুটি সাক্ষাৎকারে ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে দলের প্রয়োজনে কোচিং প্যানেল বদলের বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি। এমনই গুঞ্জনের মাঝে জানা গেছে, বিসিবি ডমিঙ্গোকে বিদায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
বিসিবির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ভারত সিরিজের পর কালই দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে যাওয়া ডমিঙ্গো আর না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বোর্ড। জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে তিনি না পারছেন যথেষ্ট কর্তৃত্ব দেখাতে, না পারছেন খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে। তাই কেবল ডমিঙ্গোকে বাদ দেওয়া নয় নতুন কোচ আসার পরিকল্পনাও নাকি সাজিয়ে ফেলেছে বোর্ড।
আরও পড়ুন…কোন সময় উবারে বেশি ট্রিপ বুকিং হয় ?
এদিকে চুক্তি অনুসারে ডমিঙ্গোর কোচিংয়ের মেয়াদ এখনও তিন মাস বাকি রয়েছে। যদিও চুক্তি শেষ হওয়ার আগে ডমিঙ্গোকে বিদায় দেয় বোর্ড তবে প্রায় ৫০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ জরিমানা দিতে হবে বিসিবিকে। কারণ ডমিঙ্গোর মাসিক স্যালারি সব খরচ বাদে ১৮ হাজার ডলার করে। অবশ্য বিসিবি চাইলে এই সময়ের মধ্যে ডমিঙ্গোকে অন্য কাজে লাগাতে পারে।
ইবাংলা/জেএন/২৭ ডিসেম্বর, ২০২২