মার্কিন গণমাধ্যম ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর ফেসবুক তাদের কর্মীদের নিয়ে ‘কানেক্ট’ নামের একটি সম্মেলন করে। চলতি বছরের সম্মেলন আগামী ২৮ অক্টোবর হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান কর্তা মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। তবে তার আগেই হয়ত নতুন নাম জানা যেতে পারে।
কেউ বলছেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নতুন নাম হবে ‘এফবি’। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে, ফেসগ্রাম, ফেসটক, বুকফেস’র মত নানা নামের গুঞ্জন শোনা গেছে।
দ্য ভার্জ-এর মতে, ফেসবুকের নাম হতে পারে ‘হরাইজন’। আগেই এ নিয়ে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছে ফেসবুক। ফেসবুকের ইন্ট্রিগ্রিটি চিফ সমীধ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ফেসবুকের নতুন নাম হতে পারে ‘মেটা’।
ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুকের নতুন নাম হতে পারে মেটাভার্স। মেটাভার্স নামের অর্থ হলো একটি ভার্চ্যুয়াল জগৎ। যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এ জগতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে। এ জগৎ বাস্তবতার সঙ্গে ডিজিটাল সংমিশ্রণ। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি অথবা অগমেন্টেড রিয়েলিটির মাধ্যমে গড়ে ওঠার কারণে এই জগতে ব্যবহারকারীদের নিজেকে আরও জীবন্ত মনে হবে।
মূলত নিজেদের পুনর্গঠিত করতেই ফেসবুকের এ নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ।
দ্য ভার্জের তথ্য মতে, ফেসবুকের তথাকথিত মেটাভার্স কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে মূলত এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্য ভার্জের তথ্য মতে, ফেসবুকের তথাকথিত মেটাভার্স কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে মূলত এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক এ জন্য ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন ডিভাইস ও অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের প্রায় ৩০০ কোটি ব্যবহারকারীকে যুক্ত করাই এর লক্ষ্য।
মার্ক জাকারবার্গ গত জুলাই থেকে মেটাভার্স নিয়ে কথা বলছেন। তিনি বলেছিলেন, মেটাভার্স ধারণায় ফেসবুকের ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে।