কিছু অভ্যাস রয়েছে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক।এর মধ্যে ক্যানসার অন্যতম। ক্যানসারের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর লাখো মানুষ মারা যায়। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষ ক্যানসারে মারা যায়।
অবাক হওয়ার মতো কথা হলো, এসব মৃত্যুর ৩০ শতাংশ অতি সহজে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর জন্য দরকার শুধু দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন।
এর মধ্যে একটি হলো চায়ের সঙ্গে ধূমপান। এটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। গবেষণা অনুসারে, ধূমপায়ী এবং মদ্যপানকারীরা যদি একসঙ্গে চা পান করেন, তাহলে এটি খাদ্যনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি ৩০% বাড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত ভাজাভুজি খেলেও শরীরে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে আলু বা মাংসকে যখন বেশি তাপমাত্রায় ডুবো তেলে ভাজা হয়, তখন অ্যাক্রিলামাইড নামে একটি তৈরি হয়। এই যৌগটিতে কার্সিনোজেনিক উপাদান রয়েছে। এমনকি এটি দেহের ডিএনএর-ও ক্ষতি করতে পারে।
প্রায়শই সাদা তেলে ভেজে ময়দার লুচি খাচ্ছেন? ময়দা ও সাদা তেল দুটিই পরিশোধিত হওয়ায়, তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে এই ধরনের খাবার খেলে স্তন ক্যানসার ও ডিম্বাশয়ে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই যতটা সম্ভব এই ধরনের খাবার খাওয়া কমান।
জার্নাল অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরম চা খাদ্য নালীর কোষের ক্ষতি করে এবং চা ও সিগারেট একসঙ্গে সেবন করলে কোষের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি ২ গুণ বেড়ে যায়। যা ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ে ক্যাফেইন পাওয়া যায়, যার কারণে পাকস্থলীতে এক ধরনের বিশেষ এসিড তৈরি হয়, যা হজমে সহায়ক, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে, সিগারেট বা বিড়িতে নিকোটিন পাওয়া যায়। যদি খালি পেটে চা এবং সিগারেট একসঙ্গে পান করলে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন…ইবিতে পরিবেশ বিভাগের পিঠা পার্বণ
সিগারেট খাওয়াও ক্ষতিকর। কারণ ধূমপায়ীর ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমন কিছু গবেষণা রয়েছে, যা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের তুলনায় যারা দিনে একটি সিগারেট খান তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৭% বেশি। এছাড়াও, যদি কেউ চেইনস্মোকার হন তাহলে এটি তার আয়ু ১৭ বছর কমিয়ে দিতে পারে।
ইবাংলা/জেএন/২২ জানুয়ারি, ২০২৩