পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এক বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা-তো বহু লোককে, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, মানুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে, দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্য দিয়ে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম করছে, খুন করছে, প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এগুলা আমরা সারা পৃথিবীকে জানিয়েছি।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন চলমান রয়েছে তাকে নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি তখন একই সময় পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস।
আরও পড়ুন…আন্দোলন সংগ্রাম করে কেউ কিছু করতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশও সন্ত্রাস করে। আন্দোলনকে দমন করার জন্য যে প্রচেষ্টা সেটা তারা অব্যাহত রাখতে চায়। এর প্রতিবাদে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি।
সরকার দেশের সমস্ত অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে গণতন্ত্রের যে কাঠামো সেটা ধ্বংস করে দিয়ে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিশ্ব মন্দার কথা না বলে দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করলেই বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভব হতো।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল তারা যে তথাকথিত নির্বাচন করল, এই উপ-নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। যদিও আমাদের হিসাবে এটা ৫ শতাংশের বেশি না। আজ পত্র-পত্রিকায় ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন একেবারে ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এজেডএম এ জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
ইবাংলা/টিএইচকে