বান্দরবানে র্যাবের সাথে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কেএনএফ এর মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জঙ্গি আটক করা হয়েছে। অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে র্যাবের ৮ সদস্য।
মঙ্গলবার ভোরে থানচি লিক্রে সড়কের ২৭ কিলো এলাকায় রেমাক্রী ব্রীজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। জঙ্গি ও সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অবস্থান টের পেয়ে সেখানে র্যাবের ৬টি পেট্রোল টিম অভিযান চালালে তাদের লক্ষ্য করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণ শুরু করে।
পরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। এ অভিযানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় র্যাবের ৮ সদস্য। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে অভিযান এখনো চলছে বলে জানা গেছে। র্যাব জানিয়েছে এখনো সেখানে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের ঘটনা চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে থানচির তমা তঙ্গিতে র্যাবের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় তার সাথে সেখানে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মোঃ কামরুল হাসান, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেঃ কর্নেল মোঃ মশিউর রহমান, মিডিয়া উইং এর প্রধান কর্নেল খন্দকার আল মঈনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন…টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত
র্যাবের মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন জানিয়েছেন পাহাড়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। এখনো পর্যন্ত সারা দেশে চলা অভিযানে ৪৩ জন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর ১৪ জন ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১৭ জন জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব।
এদিকে থানচিতে অভিযানের কারণে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং র্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
গত ৩০ জানুয়ারি রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফ এর এক সদস্য নিহত হওয়ার পর র্যাব থানচির কেএনএফ এর ঘাটিতে এই অভিযান চালিয়েছে।
আরও পড়ুন…বামনায় যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে দাবীদার মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ
উল্লেখ্য গত অক্টোবর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের মায়ানমার ও ভারত সীমান্ত এলাকায় র্যাব ও সেনাবাহিনী জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের কারণে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় দেশি বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইবাংলা/ জেএন/ ৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩