আমার মৌলিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। লুটেরা,তেল বাজ, চাটুকার দস্যুরা আমার মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে বিদেশে সেকেন্ড হোম তৈরি করে বিলাসী জীবন পার করছে।
আমরা হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী আজকের এইদিনে কতোটা অসহায়, তা দেখার কেহ নেই।মহান জাতীয় সংসদে জনগণের দুঃখ কষ্ট বলার কেউ নেই। মৃতপ্রায় বিরোধী দলের সদস্যদের জনগণের কথা বলার সময় কথায়!?
ওনারা নিজেরাই করছেন কামড়া কামড়ি। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ। ক্ষমতার লড়াই, মামলা মোকরদমা।মাজা ভাঙা, বিকলাঙ্গ নপুংসক, মানসিক,শ্রবণ, বুদ্ধী প্রতিবন্ধী বিরোধী দলের সদস্যরা আছেন যারা,এরা কখন মসনদে আসীন হবেন। কবে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর হাড্ডি-গুড্ডি আর রক্ত চুষে খাবেন এই আশায় ঘুম হারাম করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন…বিডিআর বিদ্রোহে আ.লীগ জড়িত ছিলো: ফখরুল
একটি স্বাধীন দেশের তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্তা, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়,স্ব রাস্ট্র মন্ত্রণালয় যদি মিথ্যার আশ্রয় নেয়।জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাস্ট্রীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, সে দেশের আইন বিচার,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থা কি হতে পারে!?
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় কেনো আপনি জনগণের কাছে বিতর্কিত হচ্ছেন! জানিনা।আপনি তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা অথচ আপনার কাছে রাস্ট্রের সঠিক তথ্য নেই।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের তথ্য আপনি জানেন?? এই অধিদপ্তরের নিরিক্ষা শাখার উপ- পরিচালক (বিজ্ঞাপন ও নিরিক্ষা) চৌধুরী সাহেলা পারভীন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়,ঢাকা থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০২২ একটি নোটিশ দিয়েছেন, তা কি আপনার দপ্তরে পৌছেছে?
এই নোটিশে ঢাকা মহানগর থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত মিডিয়া ভুক্ত দৈনিক পত্রিকা প্রচার সংখ্যা ও বিজ্ঞাপনের হার উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় এমোন মিথ্যা প্রকাশ করতে পারে!!?
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এখানে এমন কিছু পত্রিকা আছে যার প্রচার সংখ্যা ৫০০ কপি নেই অথচ রাস্ট্রের বিজ্ঞাপনের টাকা লুটে নেয়ার জন্য নোটিশে প্রচার সংখ্যা দেখানো হয়েছে লক্ষাধিক কপি।( পোস্টের মন্তব্যে নোটিশ টি সংযুক্ত করা হলো।
আরও পড়ুন…ডাক্তারের বর্ষপূর্তি আনুষ্ঠানিকতায় রোগীদের ভোগান্তি
দিনের আলোকে জনগণের চোখের সামনে একটি গোষ্ঠী রাস্ট্রের হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছেন,মাননীয় তথ্য মন্ত্রী মহোদয়ের যোগসাজসে। এটা কি করে সম্ভব হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা!!? কতোবড় মিথ্যা মেনে নেয়া যায়!!?
এ সকল পত্রিকা বাজারে পাওয়া যায়? রাস্ট্রের দুর্নীতি দমন কমিশন, গোয়েন্দা সংস্থা আদৌ জীবিত আছে???
সরকারের এই টাকা গুলো শুধু মাত্র প্রযুক্তি খাতে খরচ করা হলে,দেশের যুব সমাজ উপকৃত হতো না!?
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড রীতিমতো রাহুর কবলে।তৃণমূলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে ভয়াবহ মরণ নেশা ইয়াবা,আইস,কোকেন,মরফিন। নিশ্চিত মেরুদণ্ড হীন হয়ে যাবে আমাদের যুব সমাজ।অথচ আমাদের রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর, শক্তিশালী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা।
বলতে দ্বিধা নেই দেশে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। তবে কাদের জন্য এই উন্নয়ন !! মেরুদণ্ডহীন মানুষের জন্য? আমি বলতে চাই, একটি কলসির নিচে ছিদ্র করে দেয়া হলে,সেই কলসিতে পানি রাখলে কি হবে?! জানিনা কার স্বার্থে এই নাটক চলছে? চোর- চাটুকার তেলবাজ ধর্ষক মিডিয়া দখল করে নিয়েছে।
প্রেতাত্মা এখনো ভর করে আছে পুরো দেশ। আমরা ভুলে যেতে পারি না! আমাদের জাতির জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করে চরম অবহেলার মাধ্যমে একপ্রকার মাটি চাপা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন…ক্রমেই বিএনপি দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হচ্ছে
স্বাধীনতার মহান স্হাপপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্যে শেষ স্নান করানো হয়েছিল কাপড়কাচা ৫৭০ সাবান দিয়ে, গোসলের পানি ধারণ করা হয় গোয়াল ঘরের বালতিতে!
আমার প্রশ্ন আজকের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা আপনারা কোথায় ছিলেন সে দিন?!!
বর্তমানে আমি আসুস্হ।দেশে মারাত্মক চিকিৎসা সংকট।চাটুকার তেলবাজ লুটেরা,আমলা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী অসুস্থ হলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে চলে যাচ্ছেন।
দেশের চিকিৎসার প্রতি সরকার এবং বিরোধী দলের কারো কোনো ভক্তি নেই। থাকার কথাও নয়। আমি নিজেই এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। মূলত আমি কার্ডিয়াক পেশেন্ট। বেসরকারি ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় দিন কাটাচ্ছি। পরিক্ষা নিরিক্ষার সিরিয়াল পাচ্ছি না!
গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ স্কয়ার হাসপাতালে অধ্যাপক ডা.তৌহিদুজ্জামান সাহেবের ব্যবস্হাপত্র গ্রহন করি আমার
HN : R2301007815, CN : C23010194035 যথারীতি ওষুধ সেবন করি।নানান ব্যায়বহুল পরিক্ষা নিরিক্ষার করাতে থাকি।পরবর্তীতে আমার পারিবারিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই,নানাবিধ শারীরিক সমস্যার কারণে,।তিনি আমাকে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞর কাছে রেফার্ড করেন।
আমি স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা.পরিতোষ কুমার বাবুর শরণাপন্ন হলে তিনি আমাকে সি টি স্কান সহ আরো কিছু ব্যায়বহুল পরিক্ষা নিরিক্ষার করাতে পরামর্শ দেন। শুরু হলো আমার ভোগান্তি এই ল্যাব তো সেই ল্যাব।কোথাও পাচ্ছি না।
আরও পড়ুন…১৯ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান
জানলাম,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করানো যাবে। দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াচ্ছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়।সিরিয়াল পাচ্ছি না। মানুষের আর্তচিৎকার আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে আসছে। বাড়িঘর ভিটামাটি বিক্রি করে চিকিৎসা নিতে এসেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না অনেকেই।
দীর্ঘ অপেক্ষার আমি Anti Acetylcholine Receptor Ab চার হাজার টাকা জমা করে রক্তের সেম্পল ল্যাবে পরিক্ষার জন্য জমা দিলাম।যার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।অপর একটি টেস্টের Repetitive Nerve Stimulation ( RNS)সিরিয়াল পেলাম আগামি ১৫ মার্চ সকাল ন’ টায়।অর্থাৎ দেড় মাস পর।
আগেই উল্লেখ করেছি আমি কার্ডিয়াক পেশেন্ট। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর আমার সার্জারি হবে এ পর্যন্ত আমার কি অবস্থা হবে তা সৃষ্টি কর্তাই জানেন।
একজন কার্ডিয়াক পেশেন্ট এতোদিন একটি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্হা জনগনের দোরগোড়ায় বলতে পারি কি?? এ ছাড়া এই ব্যায়বহুল চিকিৎসা দরিদ্র মানুষের পক্ষে সম্ভব???
সূত্র: লেখক, কলামিষ্ট ও সিনিয় সাংবাদিক নাসিম আনোয়ারের ফেসবুক
ইবাংলা/টিএইচকে