রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের আপত্তিকর ‘ভিডিও ইস্যু’ নিয়ে মানববন্ধন করেছে সচেতন রাজশাহীবাসী।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, ‘দুই সপ্তাহ যাওয়ার পরেও কেন ডাবলু সরকারকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না?’
বক্তারা বলেছেন, আজ সারাদিন রাজশাহীবাসীর কাছে যাওয়া ছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী এবং সমর্থিত সংগঠনের কাছে আমরা যাব। রাজশাহীর কৃতি সন্তান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে বিচার চাইবো। যোগাযোগ করব দলের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামালের সাথেও। আমরা আবার আগামীকাল জিরো পয়েন্টে সব পেশার মানুষকে নিয়ে একত্রিত হব।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রধান আলোচক হিসাবে অ্যাড. আবু রায়হান মাসুদ বলেন, যখন রাজশাহীকে এই দেশের শ্রেষ্ঠ নগরী হিসাবে দাঁড় করানো গেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; তখন কতিপয় হাইব্রিড দুষ্টু কথিত নেতার নৈতিক স্খলনের ভিডিও-চিত্রকে আমরা অভিনন্দন তো জানাতে পারি না। এই বছর জাতীয় নির্বাচনের বছর। এখানে রাসিক নির্বাচনও হবে। কাজেই ডাবলু সরকারের এহেন অনৈতিক কর্ম জনমনে যে প্রভাব ফেলছে, এর প্রতিত্তোর মহানগরবাসী ব্যালটের মাধ্যমে দিয়ে দলে শেখ হাসিনার ক্ষতি, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ক্ষতি। কাজেই প্রতিকারে যেতে হবে। এমন ব্যক্তিকে গ্রহণ করার জন্য রাজশাহীবাসী প্রস্তুত নেই। আমি আশা করব, কাল থেকে আওয়ামী লীগের সকলেই এই ডাবলু সরকারের শাস্তি চেয়ে রাজপথে নেমে আসবে।
এদিকে, গেল মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে ৩ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বাথরুমের ভেতরে ডাবলু সরকার ভিডিও কলে কারো (নারী) সঙ্গে কথা বলছেন। এক পর্যায়ে বিবস্ত্র হয়ে অপর প্রান্তে থাকা কাউকে শরীর তথা যৌনাঙ্গ দেখাচ্ছেন।
ভিডিও সম্পর্কে রাজশাহী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেছেন, ভিডিওটি এডিট করা। সম্পূর্ণ ফেক। আমরা মামলা করেছি। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।
অস্বীকার করলেও ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দলীয় নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যেটা দেখেছি, সেটা ন্যক্কারজনক। ব্যাপারটা কী জানতে অনেকে গ্রাম থেকে ফোন করছে। আমি আশা করব, এটা যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তা না হলে এটা দলের জন্য বিব্রতকর।
ইবাংলা/এসআরএস