সংলাপ নয়, সরকারের পদত্যাগ চায় বিএনপি: মির্জা আব্বাস

বিএনপি সংলাপে যাবে না উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা কোনো সংলাপ চাইনি, আমরা তো চেয়েছি সরকারের পদত্যাগ। অনেক চুরি-ডাকাতি করেছেন। বিদায় হন। দেশের জনগণকে বাঁচান।

সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। আর যারা নির্বাচনে যেতে চান বা যাবেন তাদের কারও পা আস্ত থাকবে না।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক আচরণ শিখুন। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন। মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আমাদের নেত্রী তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমাদের আমলে কখনোই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো খারাপ মন্তব্য করা হয়নি।

‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়’ আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কখনোই ভয় পায়নি। এখন পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির তিনবার ক্ষমতায় গিয়েছে, কিন্তু কখনো ভোট চুরি করেননি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো আপনাদের দাবি বিএনপির দাবি নয়, কখনোই ছিল না। এখন আপনাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন। বলতে চাই- আপনারাই নির্বাচনে ভয় পান। আপনার নির্বাচনে ভয় পান এটাও সঠিক নয় আপনারা দেশের জনগণকে ভয় পান। এদেশের মানুষকে ভয় পান কারণ আপনারা যে লুটপাট চুরি হয়েছে আমারই করেছেন তার বিচার তো একদিন হবেই। সুতরাং আপনারা জনগণকে ভয় পান।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা সবসময় বলেন- জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি নাকি পাকিস্তানের চর ছিলেন; প্রধানমন্ত্রী তাহলে ৭২ সালে ক্ষমতায় ছিল কারা? আপনার বাবা-ই তাকে উপাধি দিয়েছিল তাহলে আপনার বাবার শাস্তি হওয়া উচিত।

বুলু বলেন, ১৪ সালের মতো যদি মনে করেন দেশে আরেকটি নির্বাচন হবে; তাহলে সেটা ভুল করবেন। এই দেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবসহ কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মোস্তফা সাগর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল ও যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ইবাংলা/এসআরএস