অনেককেই দেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করা হয়; কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন ‘স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধুর। কারণ, তিনি জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণার অন্য কারও বৈধ অধিকার ছিল না। কাজেই অনেককেই ঘোষক দাবি করা হয়; তারা ছিলেন পাঠক। পাঠক আর ঘোষক এক কথা না।’
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ৭ মার্চ নিষিদ্ধ ছিল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যে ভাষণ ইউনেস্কো পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই ৭ মার্চের ভাষণ তারা নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাদের নূন্যতম বিশ্বাস আছে বলে আমরা মনে করি না।’
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। শেখ হাসিনা বরং মেরামত করেছে। রাতারাতি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না।
দেশে যতটুকু গণতন্ত্র আছে, তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে গণতন্ত্র কীভাবে চর্চা করেছে? যাদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতার আমলটা তারা কীভাবে গণতন্ত্র চর্চা করেছে সেটা দেখতে হবে। এটা এমন একটা দল, যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে?সেতুমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার ডাক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাাম, ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’সে দিনই ছিল আসলে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর রাত সাড়ে ১২টা যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা আনুষ্ঠানিকতা।
কিন্তু স্বাধীনতার মূল ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে আমাদের ২৩ বছরে স্বাধিকার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এটা হলো পরিবর্তন।
ইবাংলা/টিএইচকে