পিস্তল সোহাগের অবৈধ হস্তক্ষেপের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না অনেকে। অবৈধ প্ল্যান পাশের নামে নানা ছলচাতুরি করে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া ছাড়াও রাজউকের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজেক্টে চিঠি দিয়ে হয়রানি, প্রজেক্ট ভাঙ্গা, মিথ্যা মামলা দেওয়া যেন সোহাগের নিয়মে পরিণত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সূত্রে।
আরও পড়ুন…রাজউকের আতঙ্ক পিস্তল সোহাগ! (পর্ব)২
ঢাকার বাইরে অজ্ঞাত মার্ডার মামলাসহ বিভন্ন ফৌজদারি মামলায় নাম দিয়ে ঝামেলায় ফেলাসহ দুদক দিয়ে অহেতুক হয়রানি করা সোহাগের নিত্য নৈমিত্তক ব্যাপারও বলে জানান অনেকে। এছাড়াও ইনকাম ট্যাক্স ও ভ্যাট বিভাগের লোকজন দিয়ে হয়রানি তার প্রতারনার আরেক কৌশল বলে জানা গেছে।
অপ্রকাশিত একাধিক সূত্র বলছে, সিআইডিতে অভিযোগ করে বিভিন্নভাবে অভিনব কায়দায় ব্লাকমেইলিং করে লাখ লাখ টাকা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। মো: সোহাগ ওরফে পিস্তল সোহাগের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিলেও কোন কর্তৃপক্ষই কোন ধরণের ব্যবস্থাই নিতে পারে না বলেও অফিস সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের অভিমত তাহলে মো: সোহাগ ওরফে পিস্তল সোহাগের এই অপিরসীম ক্ষমতার উৎস্ কোথা???
আরও পড়ুন…রাজউকের আতঙ্ক পিস্তল সোহাগ! (পর্ব)১
একাধিক ভুক্তভোগি প্রতিবেদকের কাছে জানায়, উচ্চ মহলের অসাধু কতিপয় রাঘব বোয়ালদের সাথে সুসম্পর্ক রেখেই খোলামেলাভাবে যে কোন কবাবদিহীতার উর্ধ্বে থেকে রাজউকের চাকরি পুঁজি করে অনিয়ম দুর্নীতি করে চলছেন সোহাগ।
ওপর মহলের অদৃশ্য শক্তির বদৌলতে সোহাগ কর্তৃক যেসব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিমপ্লেক্স লিমিটেড ডেভলপমেন্ট কোম্পানী। জানা গেছে মিডিয়াম্যান হিসেবে উত্তরা ৬ নং সেক্টরের ১১ নং প্লটটি জমির মালিকের সঙ্গে এই কোম্পানীর চুক্তি সম্পন্ন করে ব্লাকমেইলিং করে ২২০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের মালিক হন রাজউকের এই অসাধু উপপরিচালক মো: সোহাগ ওরফে পিস্তল সোহাগ। প্রতারণা করে পাওয়া ওই ফ্লাটটি বিক্রি করে ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ বলছে।
আরও পড়ুন…জামায়াতের আমির ও নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যানের বৈঠক
এবিষয় জানতে মো: সোহাগ মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। তার কিছু সময় পরে একই নম্বর থেকে ফোন আসে এক নারী কণ্ঠে সোহাগের বোন পরিচয় দিয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে কথা বলেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করার চেষ্টা করেন।
তার কিছু সময় পরে সোহাগের ভাগিনা শাহ্ আলম শামীম পরিচয় দিয়ে ফোন করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দাবি করে সোহাগের পক্ষ নিয়ে প্রতিবেদককে নিউজ করতে নিষেধ করে এবং ছাত্রলীগের শরীফ নাম পরিচয় দানকারিও ফোন দিয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে নিষেধ করেন।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোহাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রাণনাশসহ নানা ধরণের হুমকি ধামকি অব্যহত রাখেন।
তবে, রাজউকের নানাবিধ অবৈধ কাজের কাণ্ডারি সোহাগ মিয়া ওরফে পিস্তল সোহাগের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। তবে জনমনে প্রশ্ন তার এই অবৈধ শক্তির উৎস কোথায় ?
পিস্তল সোহাগের অনিয়ম প্রতারণা আর ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে আরও তথ্য নিয়ে আসছি আগামি সংখ্যায়।
চলবে………
ইবাংলা/এইচআর /১৯ মার্চ ২০২৩