২৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় ১১ টার দিকে করাপশন ইন মিডিয়ার ইনভেস্টিগেটররা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সরকারি ওয়েব সাইটে ঢোকে। মাই টিভির ই-টিনের তথ্য ঘেটে দেখা যায়, মাই টিভির পরিচালকদের তালিকায় আছেন সেই বিলকিস জাহান। তবে কথিত চেয়ারম্যান সাথীর কোন নাম নেই।
আরও পড়ুন… দুর্নীতিবাজ ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
মাই টিভি লিমিটেডের বর্তমান এবং আগের ঠিকানা হিসেবে বিলকিস জাহানের মৌচাকের অফিসটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০৬ সালে মাই টিভির কার্যক্রম শুরু হয় বিলকিস জাহানের হাত ধরে। দখল করে নেয়ার পর ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সরকারের কাছে জরিমানা দিয়ে মাই টিভি তাদের ভ্যাট ট্যাক্সের টিন সার্টিফিকেট হালনাগাদ করে। মাই টিভির প্রকৃত মালিকানায় বিলকিস জাহানের নাম থাকায় সরকারি ডাটাবেজ থেকে বিলকিস জাহানকে বাদ দিয়ে নিজের নামে মালিকানা এখনো নিতে পারেনি সাথী।
মাই টিভির আর্কাইভ হেড শেখ মুনমুন লুসি মূলত বিলকিস জাহানের রোল প্লে করেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্রে এখনো বিলকিস জাহানের বদলে স্বাক্ষর করেন এই লুসি।
আরও পড়ুন… ডিজিটাল দেশে ডিজিটাল বদলিতে অ্যানালগ দুর্নীতির অভিযোগ
শুধুমাত্র মাই টিভির টিন সার্টিফিকেট নয়, কপিরাইট, ইনকর্পোরেশন কোম্পানির লাইসেন্স, টেলিভিশন চ্যানেলের তরঙ্গ বরাদ্দের অনুমতিসহ যাবতীয় কাগজপত্রে বিলকিস জাহানকে প্রকৃত মালিক হিসেবে পাওয়া যায়। এতো কিছু প্রমাণ থাকার পরেও শুধুমাত্র টাকা, মিডিয়ার ভয় এবং পেশি শক্তির জোরে মাই টিভি নামক চ্যানেলটি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দখল এবং অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছে নাসিরুদ্দিন সাথী।
সুত্র– করাপশন ইন মিডিয়া