নিয়ন্ত্রণহীন ভোগ্যপণ্যের বাজার। চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। রোজা ঘিরে লেবু, বেগুন ও শসার দাম নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলছে। প্রতি কেজি বেগুন কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা। শসার কেজি ৮০ টাকা। প্রতি হালি (৪ পিস) লেবু ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন… খুচরা বাজারে কমেনি ভোজ্যতেলের দাম, উপেক্ষিত সরকারি আদেশ
রাজধানীর কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. আলাউদ্দিন বলেন, আগে ভ্যান গাড়িতে ২০ পিস লেবু ব্যাগে বেঁধে ১৫ টাকায় ডেকে ডেকে বিক্রি করত। এখন সেই লেবুই প্রতি হালি ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহেও ৪০ টাকা দিয়ে কেনা গেছে। আসলে বিক্রেতারা রোজার মাসকে প্রতারণার সময় হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। তা না হলে সরবরাহ ঠিক থাকার পরও দাম এভাবে বাড়তে পারে না।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে পণ্য কিনতে আসা হামিদুল বলেন, বছরের পুরোটা সময় ধরে বেগুনের চাহিদা থাকে। রোজায় ভাজাপোড়া তৈরি করতে কদর একটিু বেড়ে যায়। তাই বিক্রেতারা এ পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দেন। এবারও সেটাই করেছেন। প্রতি কেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আর গোল বেগুন ৮০ টাকা; যা ৭ দিন আগেও ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি শসা কিনতে লাগছে ৮০ টাকা; যা গত সপ্তাহে ৬০ টাকা দিয়ে কেনা গেছে।
আরও পড়ুন… কারওয়ানবাজারে ভোক্তা অধিদফতরের অভিযান
এদিকে বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা কেজি, ধনেপাতা প্রতি কেজি ১৪০-১৬০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা। যা একদিন আগে ২৬০ টাকা ছিল। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে