ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগপর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড টানা ৬১টি ম্যাচ খেলেছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু চান্দিকা হাথুরুসিংহের কোচিংয়ের নতুন অধ্যায়ে কাটা পড়ল তার নাম। দল থেকে আফিফ কেন বাদ, এ নিয়ে ছিল জল্পনা কল্পনা। সেসব একেবারেই উড়িয়ে চান্দিকা হাথুরুসিংহে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়েছেন আফিফ।
আরও পড়ুন… পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারালো মরক্কো
গত দুই বছর জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছিলেন আফিফ হোসেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একাদশে ‘অটোমেটিক চয়েজ’ ছিলেন দলে। টি-টোয়েন্টিতে টানা ৬১ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও গড়েন তিনি। কিন্তু হুট করেই তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। রবিবার সংবাদ সম্মেলনে তার কথায় স্পষ্ট বোঝা গেলো বাঁহাতি এই ব্যাটারের দলে ফেরাটা সহজ হচ্ছে না।
শেষে নেমে দ্রুত রান করেতই আফিফকে নেওয়া হতো। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ম্যাচে সফল হলেও বেশিরভাগ সময় ব্যর্থ ছিলেন। রবিবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে নিশ্চিত করেছেন পারফরম্যান্সের কারণেই আফিফকে বাদ দেওয়া হয়েছে, ‘অবশ্যই (বাদ পড়ার কারণ পারফরম্যান্স কিনা)। তার চেহারার কারণে তো না, পারফরম্যান্সের জন্যই। যে কেউ বাদ পড়লেই পারফরম্যান্সের কারণে। কখনও কখনও আবার ট্যাকটিক্যাল কারণেও (বাদ দেওয়া হয়)। যদি আমরা আলাদা কিছু করতে চাই, আলাদা কাউকে দেখতে চাই; এটাও কখনো কখনো কারণ হয়।’
আরও পড়ুন… অবশেষে জয়ের দেখা পেলো টাইগার যুবারা
দল থেকে বাদ দেওয়ার আগে আফিফের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে। তাকে জানিয়েছেন এই মুহূর্তে আসলে দলের দাবি। ভবিষ্যতে আফিফকে ফিরতে হলে অনেকগুলো সমীকরণ মেলাতে হবে, ‘সে দলের বাইরে আছে এখন। তার এখন যা করা দরকার, তাই করতে হবে। গিয়ে রান করতে হবে। আমি তার সঙ্গে কিছু জায়গায় উন্নতির ব্যাপারে কথা বলেছি। যদি সে এটা করতে পারে, দলেও যদি জায়গা ফাঁকা থাকে। তাহলে সবার মতো সেও সুযোগ পাবে।’
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয় আফিফের। ৬২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তিন হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২১.২৫ গড়ে করেন ১ হাজার ২০ রান। তবে স্ট্রাইক রেটটা ১২০.২৮ রেখেছে বড় প্রশ্ন। শেষ দিকের ঝড় তোলার চাহিদা তাতে খুব একটা মেটেনি। এখন পর্যন্ত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন আফিফ। কোনোটিতেই তার বলার মতো পারফরম্যান্স নেই।
ইবাংলা/এইচআর /২৬ মার্চ ২০২৩