স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বসেছে শেষ স্লিপার। এখন শুধু বাকি ঢালাইয়ের কাজ। সাত মিটারে কংক্রিটের ঢালাই হয়ে গেলে শেষ হবে শতভাগ সেতুর রেল লাইনের কাজ। আগামী ৩০ মার্চ মাওয়া থেকে জাজিরা পুরো সেতুতে পরীক্ষামূলক রেলচলাচলেরও পরিকল্পনা রয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন… জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরলেন পররাষ্ট্র সচিব
তিনি জানান, স্লিপারটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মাওয়ায় পৌঁছায়। পৌঁছানো মাত্রই স্লিপারটি মাওয়া প্রান্তের রেল স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সেতুর মাঝামাঝি ৫ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্লিপারটি বসানো হয়।
প্রকৌশলীরা জানান, মূল এবং দুপাশের ভায়াডাক্ট মিলিয়ে পদ্মা রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.৬৮ কিলোমিটার। রেলসেতুতে আটটি মুভমেন্ট জয়েন্ট আছে। দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ রেলব্রিজ মুভমেন্ট জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা রেল সেতুতে। দ্রুত গতিতে রেল চলার সময় এই মুভমেন্ট জয়েন্ট ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারবে। মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের আটটি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো কংক্রিটের তৈরি। এগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরোনো রেলস্টেশনের পাশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের স্লিপারগুলো তৈরি করে আনা হয় চীন থেকে।
আরও পড়ুন… জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ। এখন তা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্টের (সিএসসি) তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ। পদ্মা সেতু ছাড়াও প্রকল্পের মোট ১৭২কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেলসেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুপাশের স্টেশন নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়।
ইবাংলা/এইচআর/২৯ মার্চ ২০২৩