টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জগামী বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত হয়েছে অন্তত ৫ যাত্রী। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে আংশকা অবস্থায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলো জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা গ্রামের মসির উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া (৪০) ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী কাকলি বেগম (৩৫)। বাকী ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী চলে গেছে।
পুলিশ ও বাসযাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনের (ঢাকামেট্রো-ব-১১-৭৬৭৮) যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে ৮/৯ জনের ডাকাত দল যাত্রীবেশে গাড়িতে ওঠে। বাসটি মধুপুর উপজেলার দেউলাবাড়ি পার হলে ডাকাল দল বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
ডাকাত দল যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করলে ডাকাত দল ৫ যাত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে তারা মধুপুরের রক্তিপাড়ার উত্তর পাশে নরকোণা এলাকায় নেমে পালিয়ে যায়।
মধুপুর থানার দায়িত্বরত চিৎকিসক ডা. রিদোয়ান আলম রিজভী জানান, এ ঘটনায় রাত ২ টার দিকে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিৎকিসা শেষে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার এম সামাদ জানান, মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর আশুলিয়া থেকে টিকেট কেটে ৮/৯ যাত্রীবেশী ডাকাত বাসটিতে উঠেন। বাসটির টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ মহাসড়কের দেউলাবাড়ী জোড়া ব্রীজ এলাকায় এসে ডাকাত দল চালকে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পরে ডাকাতি শেষে রক্তিপাড়া তেলের পাম্পের কাছে এসে ডাকাত দলটি নেমে যায়। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাসটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
ইবাংলা/এইচআর/৪ এপ্রিল ২০২৩