তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কাউকে দাওয়াত করে, হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব না। কেউ আসুক না আসুক আগামী নির্বাচন যথা সময়েই হবে। শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন… বঙ্গবাজারে আজ থেকে বসছে অস্থায়ী দোকান
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে গণতন্ত্রকে প্রতিহত করার জন্য, সংসদকে অবজ্ঞা করার জন্য এবং সংসদীয় গণতন্ত্র যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে না পারে সে জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি রাজপথের বিরোধী দল আজকে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারা ৫০০ ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল। দুজন নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।
কিন্তু সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সংসদের পথচলা অব্যাহত রয়েছে, গণতন্ত্রের পথচলা অব্যাহত হয়েছে। আজকেও সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কদিন আগে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্যরা সংসদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যে পদত্যাগ করলেন, এটি সংসদের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই পদত্যাগ করেছিলেন।
এ বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আজ নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের পথচলা নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য, সংসদের পথচলা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্র সংহত রাখার জন্য কেউ নির্বাচনে আসুক আর না আসুক নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে, নির্বাচন যথা সময়ে হবে। এটি সরকারি দলের দায়িত্ব না যে সবাইকে দাওয়াত করে নির্বাচনে আনা। সরকারি দল একটি পক্ষ, বিরোধী দল আরেকটি পক্ষ, যেখানে নির্বাচনে কেউ আসবে কী আসবে না সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে নির্বাচন কমিশন, সরকারি দলের দায়িত্ব না।
আরও পড়ুন… মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৫
যখন নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয় তখন সরকারের হাতে কোনো দায়িত্ব থাকে না। নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনই আয়োজন করবে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। কাউকে দাওয়াত করে, হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে আনা সরকারের ও সরকারি দলের দায়িত্ব না। গণতন্ত্রের পথচলা যদি নিরবচ্ছিন্ন করতে হয়, গণতন্ত্রকে সংহত করতে হয় তাহলে সংসদের পথচলাকেও নিরবচ্ছিন্ন করতে হবে। এজন্য আজকের দিনে মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তির ঐক্যবব্ধ হওয়া দরকার।
ইবাংলা/এইচআর/৮ এপ্রিল ২০২৩