পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সরই পরিদর্শন

লাম ও বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে রেঙয়েন ম্রো পাড়ায় হামলা,লুটপাট,বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ বনাম ম্রো ত্রিপুরাদের ভূমি বিরোধ নিরসনকল্পে সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করছে জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

আরও পড়ুন…পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র ২নং সাব-কমিটি বিরোধীয় জমি পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন,২৯৯ নং পার্বত্য রাঙ্গামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার এম.পি, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি,৩০৯ মহিলা আসন -০৯ সংরক্ষিত নারী সাংসদ বাসন্তি চাকমা।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রেঙয়েন ম্রো পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ম্রো, ত্রিপুরা,লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট হেডম্যান, পাড়া কারবারী ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম পিপিএম, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, ইউ পি চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রীস কোম্পানী, গণমাধ্যম কর্মীসহ স্থানীয় জন-সাধারণ প্রমূখ।

সভায় জনপ্রতিনিধিরা জানান,ইতোপূর্বে জেলার শীর্ষস্থানীয়দের প্রস্তাবনানুযায়ী ৩৬টি ক্ষতিগ্রস্থ ম্রো পরিবারকে ৫ একর করে জমি প্রদান সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শ্মশানের জন্য সহ মোট ২ শত ৬ একর জমি প্রদানের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু ম্রো ত্রিপুরাদের একাংশ প্রস্তাবটি নাকচ করে। এর ফলে বিরোধটি সমাধান হচ্ছেনা।

আরও পড়ুন…খুলনা জেলার ১৪২তম জন্মদিন মঙ্গলবার

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রতিনিধি দল বলেন,বিষয়টি আমরা জানলাম, দেখলাম।যেহেতু পার্বত্য চট্রগ্রামে সম্পাদিত শান্তি চুক্তির পর থেকে ভূমি বন্দোবস্তি বন্ধ রয়েছে।

সেহেতু বিষয়টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে এই ৩৬ টি পরিবারকে জমি বন্দোবস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এবং এই বিষয়ে সঠিক সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ গুলো এবং সামনে করণীয় বিষয় নিয়ে দীর্ঘসময় আলোকপাত করা হয়।

ইবাংলা/টিএইচকে

কমিটিরপরিদর্শনসরইসংসদীয়