বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের কোলঘেঁষা ও ভৈরব-রূপসা বিধৌত খুলনা জেলার ১৪২তম জন্মদিন মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল)। এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে খুলনার জন্মদিন পালন করা হবে।
দিবসটি পালনের জন্য বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।
আরও পড়ুন…মুমিনের সাত করণীয় রমজানের পর
খুলনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, খুলনা নাম করণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হচ্ছে- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি। ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করা রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা। অনেক বিজ্ঞজনের মতে ‘কিসমত খুলনা’ মৌজা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। ব্রিটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা এসেছে বলেও অনেকের ধারণা।
১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক অবস্থার কারণে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনার ১৪১তম জন্মদিন আজ। এর আগে খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা। ব্রিটিশ শাসক ডাব্লিউ এম ক্লে খুলনা জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইবাংলা / এম আর আর