ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে আটক করেছে রাশিয়া। ক্রিমিয়া থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
এক বিবৃতিতে এফএসবি জানিয়েছে, সম্প্রতি রুশ-সমর্থিত ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই অ্যাকসিওনভ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
এফএসবি বলছে, ক্রিমিয়ায় বড় ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনাকারী ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের একটি এজেন্ট নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ভেঙে দিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই ক্রিমিয়ায় বারবার হামলা চালানো হচ্ছে। কিয়েভ পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছে যে, তারা ক্রিমিয়া পুনর্দখল করতে চায়। রাশিয়া অবৈধভাবে ২০১৪ সালে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
আরও পড়ুন>> বিকল্প বিএনপি নিয়ে গুঞ্জন
এদিকে রাষ্ট্রীয় একটি কোম্পানিকে তাদের মিসাইল উৎপাদন দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের জের ধরেই তিনি এই আহ্বান জানান।
মস্কো এবং কিয়েভ যেভাবে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে তাতে দুই পক্ষের সেনাবাহিনীই গোলাবারুদের সংকটে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু মঙ্গলবার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্যাকটিক্যাল মিসাইল কর্পোরেশন তাদের চুক্তি সময়মতো পূরণ করছে। তিনি বলেন, তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে উচ্চ-নির্ভুল অস্ত্রের উৎপাদন দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন>> তাপ কমাতে দুই লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ ডিএনসিসির
মঙ্গলবারও কিয়েভে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। গত ছয় দিনের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আক্রমণ চালানো হয়েছে। তবে কিয়েভকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো সব রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এসব হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই হামলা জবাবে রাশিয়ায় পাল্টা হামলা কবে ইউক্রেন। এ জন্য মিত্র দেশগুলো থেকে সামরিক সহায়তা গ্রহণ করছে দেশটি।
সূত্র: আল-জাজিরা
ইবাংলা/এসআরএস