>> এখনই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার বিকল্প ভাবা হচ্ছে না। একেবারেই না হলেও একটা মূল্যায়ন হবেই। মূল্যায়নটি কীভাবে বা কোন প্রক্রিয়ায় হবে, তা নিয়ে একাধিক বিকল্পও ভাবা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি আরো পর্যবেক্ষণ করতে চায় সরকার। এসএসসিতে ২৩ লাখের বেশি আর এইচএসসিতে ১৮ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
গতবছর এসএসসি পরীক্ষা ঠিকঠাক অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই করোনার প্রকোপে এইচএসসি পরীক্ষা পেছাতে পেছাতে আর হলোই না। পরে জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল এবং ক্লাস পারফরম্যান্স মিলিয়ে মূল্যায়নভিত্তিক ফলাফল হয়।
এবারও কি তা হতে চলেছে? সরকার বলছে, সময় এখনও আছে। এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে সরকার এখনও চায়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, পরীক্ষার সময় দুই-তিন মাস পিছিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়,বুয়েট, মেডিক্যালে ভর্তির পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে। আমাদের এখনো সর্বোচ্চ চেষ্টা হচ্ছে পরীক্ষা যাতে নেয়া যায়।
পরীক্ষা নেয়ার আগে আমাদের অবশ্যই বার বার করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকাতে হচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তো বন্ধ। অনলাইন ও টিভির মাধ্যমে ক্লাসে সবার অংশ নেবার সুযোগও নেই।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, কেউ যদি আশা করেন পরীক্ষা না দিয়ে বা মূল্যায়িত না হয়ে তারা সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন সেটা ভুল হবে।
আমরা পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করবো এবং বিশ্বাস করি পরীক্ষাটা আমরা নিতে পারবো। যদি একেবারেই প্রচলিত নিয়মে পরীক্ষা না নিতে পারি তাহলে বিকল্প একটা উপায় আমরা বের করবো। অর্থাৎ তাদেরকে কোন না কোন ভাবে মূল্যায়িত হতে হবে।
সরকার ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য মূল্যায়নের অন্যতম নির্ণায়ক ঠিক করে ফেলেছে, যেটি হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট। আর অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত, আগামী ২ মাসের মধ্যে যেভাবেই হোক, তাদের “সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম” এ অংশ নেয়া নিশ্চিত করা হবে।
ই বাংলা প্রতিনিধি/ আইএইচ/ ১৮ জুন, ২০২১