মোবাইলের ডাটা-প্যাকেজের মেয়াদ-দাম নির্ধারণ করবে বিটিআরসি

দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর সেবার (প্যাকেজ এবং ডাটার সংখ্যা) মেয়াদ ও দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এ লক্ষ্যে আগামী ৩০ মে বেলা ১১টায় বিটিআরসিতে সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার। সভায় প্যাকেজ এবং ডাটার মূল্য নিয়ে গ্রাহকদের বক্তব্য শুনবে বিটিআরসি।

মোবাইল অপারেটরগুলোর অসংখ্য প্যাকেজ এবং সেগুলোর দাম নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষের মধ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ‘একদেশ একরেট’র আদলে মোবাইল প্যাকেজগুলো নির্ধারণের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অনেক দিন ধরে বলে আসছেন। সভায় এসব বিষয়েও আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন>> দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

বিটিআরসির উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন খাঁন বলেছেন, নির্বাচিত গ্রাহকদের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরসমূহের প্যাকেজ সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার জন্য কমিটি এবং মোবাইল ডাটার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণের কমিটির সব সদস্য, সব মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধি, একাডেমিয়া, টেলিকম বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।

বিটিআরসির ওয়েবসাইটে মোবাইল অপারেটরসমূহের সেবা (প্যাকেজ এবং ডাটার মূল্য) সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার জন্য অংশ নেয়া গ্রাহকদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিটিআরসি প্যাকেজ এবং ডাটার মূল্য বিষয়ে অনলাইনে গ্রাহকদের মতামত নেয়া শুরু করেছে। একটি মোবাইল অপারেটরে গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ কতগুলো প্যাকেজ অফার করা উচিত- সে বিষয়ে অনলাইনে পরামর্শ নিচ্ছে বিটিআরসি। ৪০-৫০টি, ৫১-৬০টি, ৬১-৭০টি নাকি ৭১-৮৫টি? এমন প্রশ্ন দিয়ে পরামর্শ নিচ্ছে কমিশন।

এছাড়া প্যাকেজের মেয়াদকাল কী রূপ হওয়া উচিত- তারও ধারণা দিয়েছে বিটিআরসি। সাতদিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড; তিনদিন, সাতদিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড; তিনদিন, সাতদিন, ১৫ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড।

ডাটা ক্যারি ফরোয়ার্ড নিয়েও গ্রাহকদের অনেক দিনের অভিযোগ। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ডাটা শেষ বা ডাটা শেষ হওয়ার আগে মেয়াদ শেষ হওয়া। ডাটা ক্যারি ফরোয়ার্ড কী রূপ হওয়া উচিত- মেয়াদকালের মধ্যে একই প্যাকেজ নিলে; মেয়াদকালের মধ্যে একই ভলিউমের কিন্তু ভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজ নিলে; মেয়াদকালের মধ্যে যেকোনো প্যাকেজ নিলেই।

আরও পড়ুন>> অশান্তি-সংঘাত নয়, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী

ডাটার মূল্যমান কী রূপ হওয়া উচিত- প্রতি জিবির মূল্য যেকোনো মেয়াদের জন্য একই রকম; স্বল্প মেয়াদের ডাটার দাম অধিক মেয়াদের ডাটার দাম অপেক্ষা তুলনামূলক কম; প্রতি জিবি ডাটার মূল্য ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদের জন্য ভিন্ন রকম।

প্রতি জিবি ডাটার মূল্যের সর্বনিম্ন সীমা এবং সর্বোচ্চ সীমা সম্পর্কে মতামত- প্রতি জিবির জন্য সর্বদা একটি ফ্লোর (সর্বনিম্নমূল্য) এবং একটি সিলিং (সর্বোচ্চ মূল্য) থাকা উচিত; ভিন্ন মেয়াদের ডাটার জন্য সর্বদা একটি ফ্লোর (সর্বনিম্ন মূল্য) এবং ভিন্ন ভিন্ন সিলিং (সর্বোচ্চ মূল্য) থাকা উচিত; ভিন্ন মেয়াদের ডাটার জন্য পৃথক সিলিং (সর্বোচ্চ মূল্য) এবং পৃথক ফ্লোর (সর্বনিম্ন মূল্য) থাকা উচিত।

এমন প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে গ্রাহকদের পরামর্শ নিয়ে একটি প্রাথমিক গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, এসব পরামর্শ নিয়ে সভায় চূড়ান্ত করা হবে।

বিটিআরসি জানায়, নির্ধারিত সংখ্যক গ্রাহকদের অংশ নেয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত গ্রাহকদের ই-মেইল এবং ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে। যেসব গ্রাহক বিটিআরসি থেকে নিশ্চিতকরণ ই-মেইল পাবেন তারাই শুধুমাত্র পরামর্শ সভায় যোগ দিতে পারবেন।

ইবাংলা/এসআরএস

বিটিআরসিমোবাইলের ডাটা-প্যাকেজ